সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক দিয়েই চলছে জম জমাট কোচিং ব্যবসা

এ.আই.পলাশ ঃ
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি বাজার এলাকায় বর্তমানে জম জমাটভাবে চলছে কোচিং ব্যবসা। অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের কোচিং সেন্টারে না পড়াতে চাইলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সেই কোচিং ব্যবসায়ী শিক্ষকরা অভিভাবকদের বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে কোচিং সেন্টারে ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহের প্রতিযোগীতায় নেমেছে। এই নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে বিভিন্ন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জানা গেছে, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী, কেতকীবাড়ী ও চিলাহাটি বাজার এলাকায় যে সমস্ত সরকারী বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে তারাই এ কোচিং সেন্টারের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। প্রতিদিন এই শিক্ষকরা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সঠিক সময়ে না গিয়ে কোচিং ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। সেই কারণেই এই এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান দিন দিন কমে যাচ্ছে এবং এলাকার সাধারণ মানুষ তাদের ছেলে মেয়েদের এই সরকারী ও বে-সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছেলে মেয়েদের পড়াতে অনিহা প্রকাশ করছে। অপর দিকে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে সমস্ত শিক্ষরা এই কোচিং সেন্টার খুলেছেন তারা অভিভাবকদের স্কুলের চেয়ে কোচিং সেন্টারের লেখা পড়ার মান ভাল বলে ছাত্র-ছাত্রীর সংগ্রহ করছেন  তারা। এ ব্যাপারে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবীন শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্কুলের এই শিক্ষকগুলো সঠিক সময়ে স্কুলে না গিয়ে তারা তাদের কোচিং ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এদের জন্যই আজ প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান ধ্বংস হতে বসেছে। বিভিন্ন অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের ছেলে-মেয়েদের যদি কোচিং সেন্টারে না পাঠায় তাহলে, স্কুলে সেই শিক্ষক কাশ নেয়ার সময় কোচিং না যাওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে বৈরী আচরন করেন। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়ার প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এলাকার অভিভাবকসহ সচেতন মহলে প্রশ্ন সরকারী বিধি মোতাবেক যদি এ ব্যপারে কোন আইনি পদক্ষেপ নেয়ার বিধান থাকে তাহলে, কি কারণে শিক্ষা বিভাগ এই  শিক্ষকগুলোর বিরুদ্ধে আইগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেনা না?
ইতি মধ্যে এই কোচিং ব্যবসা ও বিভিন্ন অনিয়মের নিয়ে  এলাকার সচেতন অভিভাবকবৃন্দ  নীলফামারী জেলা প্রশাসক বরাবরে তদন্তের দাবী প্রসঙ্গে অভিযোগপত্র দায়ের করলে, জেলা প্রশাসক সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ডোমার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের ভার প্রদান করেন এবং বিষয়টি তদন্ত হলেও এখন পর্যন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়নি।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 8181200738342775552

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item