ভাদ্র মাসে ডোমার পৌরসভায় বাড়ছে বেওয়ারিশ কুকুরের উৎপাত আতংকে সাধারণ মানুষ।

আনিছুর রহমান মানিক,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ-
ভাদ্র মাসে ডোমার পৌরসভায় বেওয়ারিস কুকুরে উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় আতংকে অসহায়  সধারণ মানুষ। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রী থেকে ছেলে বুড়ো সকলেই কুকুর আতংকে ভূগছে। এসকল বেওয়ারিশ কুকুর সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত দল বেধে পৌর শহরের অলি গলি দাপিয়ে বেড়ালেও পৌর কতৃপক্ষ নিরব দর্শক।
সরজমিনে দেখাগেছে,যাতায়াতের পথে,রাস্তার মোড়ে মোড়ে ১৫-২০টি কুকুর রাস্তার  মাঝে শুয়ে থাকে,পথচারিকে একা পেলে তাদের ঘেউ ঘেউ মিছিলসহ দল বেধে আক্রমন করে। অনেক স্কুলগামী ছাত্র ছাত্রী ভয়ে স্কুল যাওয়া ছেড়ে দিয়েছে।
একা রাতে এসকল রাস্তা দিয়ে পথ চলতে ভয় পায় অনেকে।
শহরের কাঁচাবাজার থেকে পল্টন পাড়া মোড়,প্রেসক্লাব থেকে ষ্টেশন পর্যন্ত,সাহাপাড়া থেকে মহিলা কলেজ , চিকনমাটি,কলেজ পাড়া,ডোমার বাসষ্টান্ড, কাজী পাড়া সহ সকল স্থানেই এসকল কুকুরের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্র হলেও পৌর সভা কতৃপক্ষ এ ক্ষেত্রে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে বলে ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন।ডোমার কাজী পাড়া ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্কুল শিক্ষক আলম জানান,কুকুরের উৎপাতে আমার সন্তানেরা স্কুল যেতে ভয় পাচ্ছে।রাতে কুকুরের ঘেউ ঘেউ শব্দে ঘরে ঘুমানো দায়।একই এলাকার কলেজ শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানান,কুকুরের ভয়ে আমার ৬বছরের সন্তানকে একা স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছি,তাই আমার স্ত্রী বাড়ীর কাজ ফেলে এখন ছেলের সাথে রোজ স্কুলে যায়। পান ব্যাবসায়ী রফিক হোসেন বলেন, রাতে বাড়ি ফেরার পথে একজন সঙ্গীর অপেক্ষায় থাকতে হয়, নয়তো পাঁচশ গজ রাস্তার জন্য ৩০-৪০টাকায় রিক্সা ভাড়া করতে হয়।
চান্দিনা পাড়ার কাফি জানান, এলাকায় ইতিমধ্যে ৮/১০টি পশু কুকুরের কামড়ে পাগল হয়েছে।চিকন মাটির জয়নব বেওয়া জানান,আমার একটি ছাগীকে পাগলা কুকর কামড় দিলে বহু কষ্টে ৮শত টাকা জোগার করে ভ্যাকসিন দিয়েছি। এবিষয়ে পৌর সভার প্যানেল মেয়র সহির উদ্দিন সরকার কে জানালে তিনি বলেন,আপাতত বেওয়ারিশ কুকুর নিধনের কোন পরিকল্পনা আমাদের নাই।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 374783874249380764

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item