ট্রেন দুর্ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য নিহত পুলিশের উদ্যোগেও পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

আবু ফাত্তাহ কামাল পাখি,স্টাফ রিপোর্টারঃ
নীলফামারীতে ট্রেন দুর্ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে জেলা পুলিশের উদ্যোগেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের ওই কমিটিতে প্রধান হিসেবে রয়েছেন নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেন। এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ইন সার্ভিস) আশরাফুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) সাজেদুর রহমান, ফিরোজ কবির ী ডিআইও ওয়ান আলতাফ হোসেন। রবিবার দুপুরে পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান ওই কমিটি গঠন করে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার(এসপি) জাকির হোসেন খান জানান, তদন্ত কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

অপর দিকে পশ্চিমাঞ্চল রেলের উদ্যোগে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা শওকত জামিল মহসিকে প্রধান করে চার সদস্যের  গঠিত তদন্তটিম তদন্ত শুরু করেছে। তারা রবিবার তদন্ত এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্নজনের সাথে কথা বলেন।  এই তদন্ত টিমটি আগামী তিন কার্য্য দিবসে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এদিকে ওই ঘটনায় সৈয়দপুর জিআরপি থানায় রেলবিভাগের পক্ষে দুইটি ও সৈয়দপুর থানার পক্ষে একটি সহ তিনটি জিডি করা হয়েছে।
শনিবার(১৫ আগষ্ট) রাত ১০টার দিকে  সৈয়দপুর থানার এসআই রেজাউল ইসলাম সৈয়দপুর জিআরপি থানায় একটি জিডি (নম্বর ৪৭২) দায়ের করেন। জিডিতে  তিনি উল্লেখ করেন ১৪ আগষ্ট রাতে ঢেলাপীর রেলক্রসিং পার হবার সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকাগামী আন্তঃনগর নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি কোন  হুইসেল না বাজিয়ে বেপরোয়া গতিতে এসে পুলিশের পিকআপ ভ্যান কে ধাক্কা দেয়। এতে ৪ পুলিশ সদস্য নিহত ও ওসি সহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়। যা ওই দুর্ঘটনার জন্য ওই ট্রেনটিকে দোষারোপ করা হয়েছে জিডিতে।
এদিকে পুলিশের পক্ষে উক্ত জিডি দায়ের আগেই সৈয়দপুর রেলষ্টেশনের কার্যরত সহকারি ষ্টেশন মাষ্টার এ,কে,এম সফিকুল ইসলাম ১৫ আগষ্ট শনিবার সকাল সাড়ে ৭টায় সৈয়দপুর জিআরপি থানায় একটি  জিডি দায়ের করেন(নম্বর ৪৫০)। জিডিতে তিনি  উল্লেখ করেন ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে ছেড়ে নীলফামারী হয়ে রাত সাড়ে ১১টায় সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে স্বাভাবিক নিয়মে এসে থামে। এখানে ৫ মিনিট ট্রেনটি দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা নামা করে রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকার উদ্যেশে ছেড়ে যায়। কিন্তু ট্রেনটি সৈয়দপুর রেলষ্টেশনে পৌছানোর আগে মোবাইল ফোনে ঢেলাপীর রেলক্রসিং এ পুলিশের পিকআপের সাথে ট্রেনটির সংঘর্ষের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। এই খবরের সুত্র ধরে  ট্রেনের চালক মিজানুর রহমান ও ট্রেনের পরিচালক(গার্ড) পিকে আর কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা এ ধরনের কোন দূর্ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। ট্রেনের চালক মিজানুর রহমানের বরাত দিয়ে ওই জিডিতে আরো বলা হয় ট্রেনের ইঞ্জিনের সাথে কোন গাড়ীর ধাক্কা বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
অপর দিকে সৈয়দপুর সহকারি ষ্টেশন মাষ্টারের সাথে পি,ডাব্লু ওয়ের  সৈয়দপুর রেলওয়ের সহকারি  প্রকৌশলী আব্দুল মতিন একই দিন পৃথক আরেকটি জিডি (নম্বর ৪৬১) দায়ের করেন সৈয়দপুর জিআরপি থানায়। সেখানে তিনি উল্লেখ করেন ১৪ আগষ্ট রাত ১১টা ৩০ মিনিটে খয়রাত নগর রেলষ্টেশনের ৩৮৮/১-২ কিলোমিটার রেলপথের ঢেলাপীরে অরক্ষিত গেট ই/১২৮ এ পুলিশের পিক আপভ্যানের( নীলফামারী ঠ-১১-০০১০) সাথে পারাপারের সময় ট্রেন নম্বর ৭৬৬ ডাউন আন্তঃনগর নীলসাগর ট্রেনের ধাক্কা লেগে পুলিশের ভ্যানটি লাইন হতে ৪৫ ফিট দুরে পড়ে আছে জানা গেলেও ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রেললাইনের বা রেলক্রসিংটির কোন ক্ষতির চিহৃ পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত শুক্রবার রাতে নীলফামারীর ঢেলাপীর রেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন নীলসাগরের ধাক্কায় সৈয়দুপর থানার পিকআপ ভ্যান দুমরে মুচরে যায়। ঘটনাস্থলে ১জন এবং রংপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করার পর মারা যান আরো তিন পুলিশ কনস্টেবল। এছাড়া আশংকাজনক অবস্থায় সাতজন পুলিশ সদস্য চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ ও রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

পুরোনো সংবাদ

প্রধান খবর 2773408856085901136

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item