উচ্ছেদের পর আবারও অবৈধ দোকান ট্রেন ও নাগরিক চলাচলে ভোগান্তি কমছে না

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
সৈয়দপুর শহরে রেল কর্তৃপরে নির্দেশে সড়কের রেললাইনের দুই ধারের দোকানপাট উচ্ছেদের পর আবারও নির্মাণ হয়েছে অবৈধ দোকানপাট। এতে করে নাগরিক চলাচলে ভোগান্তি রয়েছে আগের মতই।

সূত্র জানায়, ট্রেন ও নাগরিক চলাচলে বাধাগ্রস্থ না হওয়াসহ যানজট নিরসনে সৈয়দপুর রেলওয়ের উদ্যোগে পাকশী রেলওয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদের নেতৃত্বে শহরের রেললাইন সংলগ্ন ও প্রধান সড়কে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়। গত ২৭, ২৮ এপ্রিল দুইদিন উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। ওই উচ্ছেদে গুড়িয়ে দেওয়া হয় প্রায় তিনশটি দোকান। উচ্ছেদ অভিযানের পর মাত্র একমাস ট্রেন ও জনসাধারণ চলাচলে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু মাসখানিক পর আবারও দোকানপাট নির্মাণ হওয়ায় ভোগান্তি চলছে আগের মতই। সংকুচিত হয়ে পড়েছে রাস্তাঘাট। শহরের প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোই যানজট লেগেই থাকছে।
শহরের পোস্ট অফিস এলাকা থেকে ১নং রেল ঘুমটি পর্যন্ত এবং ক্যান্টনমেন্ট সড়কের দুই পাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলেও সেখানে আবারও তৈরি হয়েছে দোকানপাট। যানজট নিরসন ও ট্রেন চলাচলে ব্যাঘাত না হওয়ার জন্য রেল কর্তৃপ নিজ উদ্যোগে সিগনাল ঘর নির্মাণ ও ১নং ঘুমটির রেল ক্রসিং মোড় চওড়া করেন। এতে মাসখানিক ট্রেন চলাচলে সমস্যা হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে রেল ক্রসিং ঘুমটি ঘর সংলগ্ন বসেছে অনেক দোকানপাট। যা থেকে রেল গেটম্যান প্রতিমাসে আয় করছেন হাজার হাজার টাকা। অথচ ট্রেন চলাচলে সমস্যা না হওয়ার জন্যই ছিল রেল কর্তৃপরে মহতি উদ্যোগ।
এনিয়ে ১নং রেলক্রসিং ঘুমটি ঘরের গেটম্যান জানায়, রেল কারখানার নেতাদের অনুমতি নিয়েই তারা দোকানপাট বসিয়েছেন। ঘুমটিঘর সংলগ্ন অবৈধ দোকান মালিকদের সরানোর কথা তিনি বলবেন না বলে জানান।
পাকশী রেলওয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাক আহমেদ বলেন, ট্রেন ও শহরবাসীর চলাচলে স্বাচ্ছন্দ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে রেলের কর্তৃপ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন এবং যাবেন। কিন্তু স্থানীয়রা যদি সহযোগিতা না করেন তাহলে সৈয়দপুর শহর উন্নয়নে মুখ থুবড়ে পড়বে বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 197505721982706203

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item