সৈয়দপুরে মেধাবী শিক্ষার্থী হত্যাকান্ডের ৫২ দিন গ্রেপ্তার হয়নি আসামী। বিচার দাবিতে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
https://www.obolokon24.com/2015/08/saidpur_3.html
নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর মেধাবী শিক্ষার্থী সিরাজুম মনির সাকিব (১৪) হত্যা ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে তার পরিবার। রবিবার দুপুরে নীলফামারী প্রেসকাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সাকিবের বাবা হাবিবুর রহমান বলেন, ঘটনার ৫২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করে আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ন্যায় বিচারের স্বার্থে ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত চিহিৃত করে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাকিবের মা শিউলী আক্তার, বোন সুমাইয়া আক্তার ( ১০), খালা নাসরিণ জানান, ফুপু শ্যামলী আজাদ। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েরন পরিবারের সদস্যরা।সাকিবের মা বলেন,‘একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে সর্বস্ব হারিয়েছি আমি। এমন নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখন ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি আমরা। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার স্বার্থে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’সৈয়দপুর সরকারী কারিগরি স্কুল এন্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ওই মেধাবী শিক্ষার্থী সিরাজুম মনির সাকিব চলতি গত ১৩ জুন রাতে সৈয়দপুর শহরের হাতিখানা কবরস্থান সংলগ্ন ভাড়া বাসায় একা অবস্থানের সময় হত্যার শিকার হন। সে সময়ে মুখ, হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় ঘরের ভেতর থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এঘটনায় পরদিন (১৪ জুন) তার বাবা হাবিবুর রহমান বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করে সৈয়দপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তার বাবা-মা ওই সময়ে ছেলেকে রেখে জেলার জলঢাকা উপজেলার মীরগঞ্জ পাঠানপাড়া গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান।ঘটনার পর থেকে আন্দোলনে নামে সাকিবের সহপাঠিসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। বিচারের দাবিতে একাধিকবার সমাবেশ, মানববন্ধনসহ স্মারকলিপি প্রদান করে তারা। এর পরও ঘটনার ৫২ দিনে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি কোন আসামী।
এব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাঈল হোসেন বলেন,‘ময়নাতন্দের প্রতিবেদন হাতে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে সাকিবকে শ্বাসরোধ করে হত্যার কথা বলা হয়েছে। মামলা তদন্তকালে কোন আসামী চিহিৃত করে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ওই মামলাটি সম্প্রতি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।