বিশ্বের একমাত্র সৈয়দপুর ফাইলেরিয়া হাসপাতাল বন্ধের পথে, তদন্তে সিডিসি’র ডিপুটি ডাইরেক্টর

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃখুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে বিশ্বের একমাত্র সৈয়দপুর ফাইলেরিয়া হাসপাতাল। চিকিৎসার মান উন্নত হলেও রোগীরা ঔষধ পাচ্ছেন না।
কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতনও মিলছেনা নিয়মিত। এভাবে চলতে থাকলে খুব অল্প দিনেই এ হাসপাতালটি বন্ধ হতে পারে বলে মন্তব্য অনেকের । তবে যাতে করে হাসপাতালটি সঠিকভাবে চলে রোগীরা ঔষধ বা বিনামূলে ঔষধ পায় এবং কর্মকর্তা কর্মচারীরা নিয়মিত বেতন পায় এজন্য গত সোমবার সিডিসি’র ডিপুটি ডাইরেক্টর ডাঃ মোঃ রওশন আলম খান চৌধুরী সহ ৫ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পর্যবেণে আসেন।
জানা যায়, ১৯৯৭ সালে আলহাজ্ব কবির উদ্দিন সরকারের দান করা জমির উপর ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এ হাসপাতালটি নির্মাণ করেন। ১৫ লাখ টাকা ব্যায়ে ৫০ শতাংশ জমির উপর তিন তলা বিশিষ্ট সৈয়দপুর ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি নির্মাণ করা হয়। পরে এক দাতা সংস্থার দেয়া অনুদানের কোটি টাকা ব্যায়ে তিন তলা বিশিষ্ট অত্যাধুনিক মডেলে ২টি ভবন নির্মাণ করা হয়। একসময় পর্যায়ক্রমে এ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতালের সকল যন্ত্রপাতি ক্রয় সহ নিয়োগ দেয়া হয় একাধিক জনকে। প্রথমার্ধে বিনা পয়সায় রোগীদের সেবা দেয়ার কথা থাকলেও পরবর্তীতে রোগীদের কাছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে সেবা দেয়ার আইন পরিচালিত হয়। এ নিয়ে কজন প্রতিবাদ করলে ওই হাসপাতালের কজনকে চাকরীও হারাতে হয়েছিল বলে জানা যায়।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানান, প্রথমার্ধে এ হাসপাতালে ফাইলেরিয়া রোগের চিকিৎসার কথা থাকলেও পরে শুরু করা হয় হাইড্রোসিল অপারেশন সহ একাধিক রোগের। সঠিক সেবা পাওয়ায় ওই সময় রোগীরাও ঝুকে পড়েন ওই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে। শুরু হয় রোগীদের ভীর, আয়ও হয় পর্যাপ্ত। কিন্তু প্রফেসর ডাঃ মোয়াজ্জেম হোসেন টাকার লোভ সামলাতে না পেরে শুরু করে দেন দূর্ণীতি ও অনিয়ম। একপর্যায়ে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করা হলে উর্ধ্বতন কর্তৃপরে নজরে পরে ওই হাসপাতালটি। পরে হাসপাতালটি যাতে করে সঠিকভাবে চলে এজন্য ২৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির মাধ্যমে ২০০১ সাল পর্যন্ত চিকিৎসা সেবা মোটামুটি ভালই চলছিল। কিন্তু ২০১১ সালের পর থেকে ওই হাসপাতালে কর্মরত ডাঃ সুরত আলীর দূর্নীতি ও অনিয়মের কারণে রোগীর সংখ্যা কমতে থাকে। কর্মকর্তা কর্মচারীর বেতন সঠিকভাবে প্রদান করা হয়না বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
কথা হয় ডাঃ সুরত আলীর সাথে। তিনি সাংবাদিক জহুরুল ইসলাম খোকনকে বলেন, হাসপাতালে সেবার কোন কমতি নেই। কিন্তু অর্থের অভাবে রোগীদের ঔষধ ও কর্মচারীদের বেতন নিয়মিত দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারীভাবে সাহায্য মিললে তার বিরুদ্ধে আর কোন অভিযোগ আসবেনা বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, হাসপাতালটিতে রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা প্রদানে সরকারী সাহায্যের দরকার মর্মে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করা হয়েছিল। ওই আবেদনের প্রেেিত গত সোমবার সিডিসি’র ডিপুটি ডাইরেক্টর ডাঃ মোঃ রওশন আলম খান চৌধুরী, এমপিএম (ফাইলেরিয়া) মোতাসেম বিল্লাহসহ মোট ৫ জন উচ্চ পর্যায়ের অভিজ্ঞ ডাক্তার তদন্তে আসেন। তারা পর্যবেণ করে দেখেছেন। আশা করি এ হাসপাতালটি শুধু দেশ নয় বিশ্বের প্রথম ফাইলেরিয়া রোগীদের সেবা দেয়ার জন্য ১ নম্বর হাসপাতাল হবে বলে জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 3356776082377162767

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item