সৈয়দপুরের হরিজনরা শিায় আলো ছড়ালেও বসবাসের জমি নিয়ে আতঙ্কিত

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর প্রতিনিধি ঃ
সৈয়দপুর শহরে নোংরার আবর্তে বেড়ে উঠেছিল হরিজন সম্প্রদায়ের শিশু কিশোর যুবক যুবতিরা। এক সময়ে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত এই সমাজের ঠাঁই ছিলনা সর্বত্র। তারা বর্ণ বৈষম্যের শিকার হয়েছিল প্রতিনিয়ত। কিন্তু বর্তমানে এ সম্প্রদায়ের মানুষ আলোর দিশা পেয়েছে। শিার ঢেউ যেন বইতে শুরু করেছে এ সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ জীবনে। শিার ঢেউ লেগে এদের অনেকেই উচ্চ শিায় শিতিও হয়েছে। কেউ কেউ পড়াশুনা করছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আবার কেউবা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে। সৈয়দপুর শহরের মুন্সিপাড়া দরমা পট্টি, হাতিখানা, নতুন বাবুপাড়া, সুরকী মহল্লা ও ইসলামবাগ রসুলপুর এলাকায় হরিজন সম্প্রদায়ের বসবাস।
এসব এলাকায় প্রায় একশটি পরিবারের ৪ শতাধিক মানুষ বসবাস করছে। শহরের হরিজন সম্প্রদায়ের সর্বপ্রথম যিনি উচ্চ শিায় শিতি হয়েছেন তার নাম হলো নন্দ কুমার। অনার্স পাশ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। বর্তমানে মাস্টার্সের ছাত্র তিনি। এর আগে শ্রীমতি তুতিয়া বাসফোর নামের এক হরিজন সম্প্রদায়ের নারী এসএসসি পাশ করার পর দলিত সম্প্রদায়ের অগ্রাধিকার আদায়ের ল্েয ২০১০ সালে জার্মান গিয়েছিলেন তিনি এবং পুরস্কারও পেয়েছেন একাধিক।
জার্মান থেকে দেশে ফেরার পর তার মেয়ে ভারতীকে এসএসসি পর্যন্ত পড়াশুনা করিয়ে বর্তমানে সৈয়দপুর হেলথ কমপ্লেক্স এ চাকুরীজীবি জনি নামের এক যুবকের সাথে বিয়ে দেন তিনি। এরপর ভারতীকেও সেখানে চাকুরী দেন।
শ্রীমতি তুতিয়া বাসফোর বলেন, সৈয়দপুরে ছোট একটা চাকুরী করার কারণে প্রতিনিয়ত লাঞ্চিত হওয়ায় তার সন্তানসহ হরিজন পরিবারের সন্তানদের শিতি করার ওয়াদাবদ্ধ হন। তার প্রচেষ্ঠায় জার্মান যাওয়া ও ওই সম্প্রদায়ের সন্তানরা আজ শহরের ২০ জন শিতি পরিবারের মতই হয়েছেন। স্বাস্থ্য সম্মত আধুনিক জীবন যাপন করছেন তারা। তিনি বলেন, শুধু তারাই নন শহরে যেসব হরিজন পরিবার রয়েছেন আজ তারাও তাদের সন্তানদের পড়াশুনা করাচ্ছেন। যখন তারা নোংরার আবর্তে বেড়ে উঠেছিল তখন কেউই তাদের বসবাসের জমি ঘৃনায় দখল করেনি। কিন্তু যখন থেকে তাদের সন্তানদের শিতি করা সহ আধুনিক করতে শুরু করেছেন তখন শুরু হয়েছে তাদের বসবাসের জমি অবৈধভাবে দখল করা এবং প্রতিবাদ করলেই আসছে প্রাণনাশের হুমকি।
হরিজন ঐক্য পরিষদ ও হরিজন পূজা মন্ডপ পরিষদের সভাপতি নন্দ কুমার জানান, তাদের সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা শিায় অগ্রসর হলেও তাদের বসবাসের জমি বেদখল হওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন। প্রভাবশালীদের দ্বারা তাদের জমি যাতে করে বেদখল না হয় সেজন্য বর্তমান ভারপ্রাপ্ত পৌর মেয়র জিয়াউল হক জিয়ার কাছে জোড় দাবি জানান তিনি।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6635615017183380900

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item