তিস্তার চরাঞ্চলসহ রংপুর নগরীর নিম্নাঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ এখনও পানিবন্দি

হাজী মারুফ, রংপুর ব্যুরো
টানা বর্ষণে রংপুরে গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলার তিস্তার তীরবর্তী চরাঞ্চলসহ রংপুর নগরীর নিম্নাঞ্চলের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ হাঁটু থেকে কোমড় পানিতে বসবাস করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ খবর নেয়া হয়নি। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ওয়ার্ড কাউন্সিলররা পানিবন্দি মানুষের মাঝে সামান্য পরিমানে ত্রান বিতরন করেছে। পানিবন্দি মানুষজন আশ্রয় নিয়েছে বিভিন্ন স্কুলে।
রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, গত ৫ দিনে রংপুরে প্রায় ৪৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে । টানা বর্ষণের কারনে নগরীর ২০টি পাড়া পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে।
শালবন মিস্ত্রীপাড়া, জুম্মাপাড়া মূলাটোল, মুন্সীপাড়া, কামালকাছনা, রবার্টসনগঞ্জ এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক এলাকায় পানি ঘরের ভিতর প্রবেশ করায় রান্না করতে পারছেনা। রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি বিজ্ঞান শাখার (হাইড্রোলজি বিভাগ) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবিরাম বর্ষণের পাশাপাশি উজানের ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ বৃদ্ধি  পেয়েছে। কাউনিয়া পয়েন্টে পানিও বিপদসীমা ছুই ছুই করছে। অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলো বেশি প্লাবিত হয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  তৌহিদুল ইসলাম জানান, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিস্তা তীরবর্তী নোহালী, লক্ষ্মীটারী, কোলকোন্দ, আলমবিদিতর, গজঘণ্টা ও মর্ণেয়া ইউনিয়নের ৫০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ৪০ হাজার মানুষ। পানিবন্দি পরিবারগুলোতে জ্বালানি সংকট দেখা দিয়েছে। তবে জ্বালানি সহায়তা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফয়সাল হাসান জানান, জ্বালানি সরবরাহের পাশাপাশি পানিবন্দি অতি দরিদ্র পরিবারগুলোকে চিড়া ও গুড় প্রদান করা হচ্ছে। পানিবন্দি মানুষ জানান, তাদের ঘরের ভিতরে পানি ঢুকেছে। ফলে ঘর থেকে বের হওয়া সম্ভব হচ্ছেনা। এ পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন প্রকার সহায়তা পাওয়া যায়নি।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফরহাদ হোসেন জানান, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিস্তা তীরবর্তী শহীদবাগ, টেপামধুপুর, হারাগাছ ও বালাপাড়া ইউনিয়নের ২৫ গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলেয়া ফেরদৌস জাহান জানান, উপজেলার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে তিস্তার তীরবর্তী পীরগাছা, তাম্বুলপুর, ছাওলা, কান্দি ও কৈকুড়ি ইউনয়নের ৪০ গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ডুবে  গেছে  বেশকিছু কাঁচা রাস্তা।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 9211533057413377924

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item