স্বামী হত্যার অভিযোগে স্ত্রী সুফিয়া বেগমের ফাঁসির আদেশ
https://www.obolokon24.com/2015/08/rangpur_46.html
হাজী মারুফ, রংপুর ব্যুরো
বিদেশ ফেরত স্বামী আসহানুল হক বেলালকে চেতনা ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আসামির অনুপস্থিতিতে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক রোকনুজ্জামান জনাকীর্ন আদালতে গতকাল সোমবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে রংপুর নগরীর মাহিগজ্ঞ এলাকার জেবি সেন রোডে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল আসামী সুফিয়া বেগম তার স্বামী আহসানুল হক বেলালকে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান করে।
এরপর সুফিয়া বেগম তার স্বামীকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর তার লাশ দ্বিখন্ডিত করে একটি বস্তায় ভরে অটো রিকশা করে স্থানীয় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসির সন্দেহ হওয়ায় অটো রিকশা আটক করে বস্তা খুলে নিহত বেলালের দ্বিখন্ডিত লাশসহ হাতে নাতে সুফিয়া বেগমকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশসহ সুফিয়া বেগমকে ধরে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আহসানুল হক বুলবুল বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলায় ১৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেলা শেষে বিজ্ঞ আদালত সুফিয়া বেগমকে দোষি সাব্যস্ত করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড প্রদান করার রায় প্রদান করেন। বিদেশ ফেরত স্বামী আসহানুল হক বেলালকে চেতনা ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করে জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করার অভিযোগে স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। আসামির অনুপস্থিতিতে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ১ এর বিচারক রোকনুজ্জামান জনাকীর্ন আদালতে গতকাল সোমবার দুপুরে এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে রংপুর নগরীর মাহিগজ্ঞ এলাকার জেবি সেন রোডে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল আসামী সুফিয়া বেগম তার স্বামী আহসানুল হক বেলালকে চেতনা নাশক ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান করে।
মামলার পিপি আব্দুল মালেক এ্যডভোকেট ও সহকারী পিপি আব্দুস সাত্তার জানান বিজ্ঞ বিচারক সুফিয়া বেগমকে একজন নৃশংস ও বিভৎস নারী হিসেবে আখ্যায়িত করে সর্ব্বচ্য শাস্তি প্রদান করেছেন। তবে আসামী সনুফিয়া বেগম দঅর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হবার পর থেকে পলাতক থাকায় বিচারক আসামী সুফিয়া বেগমকে গ্রেফতারের পর এ রায় কার্যকর করার আদেশ দেন।