রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা৪ বার শোকজ পাওয়ার পরও বহাল তবিয়তে
https://www.obolokon24.com/2015/08/rangpur_38.html
হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো প্রধান :
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এস কে হাবিবের বিরুদ্ধে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ফুঁসে উঠেছে। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতারা ও একের পর এক শোকজ করায় কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। অপরদিকে চারবার শোকজ নোটিশ পাওয়ার পরও ডিএলও বহাল তবিয়তে থাকায় জেলার সুশীল সমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কথা বলায় কয়েকজন কর্মকর্তাকে হুমকি প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রংপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এস কে হাবিবের বিরুদ্ধে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ফুঁসে উঠেছে। বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতারা ও একের পর এক শোকজ করায় কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। অপরদিকে চারবার শোকজ নোটিশ পাওয়ার পরও ডিএলও বহাল তবিয়তে থাকায় জেলার সুশীল সমাজকে ভাবিয়ে তুলেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কথা বলায় কয়েকজন কর্মকর্তাকে হুমকি প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রে জানা যায়, ডাঃ এস কে হাবিব প্রায় ৬ মাস পূর্বে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তিনি বিভিন্ন পশু খাদ্য উৎপাদন কোম্পানীর কাছে মাসোহারা আদায় করে আসছেন। এরই মধ্যে জমজম ফিড মিল্ক কোম্পানীর মালিক মাসোহারা দিতে অস্বীকার করায় তার কোম্পানী বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। ফলে ওই কোম্পানীর মালিক ডিএলও’র বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ডিজি বরাবর অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, ডিএলও তার অনিয়ম ধরে রাখতে বিভিন্ন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের শোকজ অব্যাহত রেখেছন। এরই মধ্যে কাউনিয়া, পীরগঞ্জ উপজেলা কর্মকর্তা ও জেলা প্রাণি হাসপাতালের ভিএসকে শোকজ করেছেন। জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার অংশগ্রহণ করেন। সেই অনুষ্ঠান ভালো হওয়ায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে শোকজ করেছেন।
অপরদিকে, ডিএলও’র একের পর এক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে গত ২৪ আগস্ট জেলার সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অনাস্থা অনেন। তার বিরুদ্ধে অনাস্থা ও কথা বলায় গত ২৫ আগস্ট ডিএলও উত্তেজিত হয়ে তার পিয়ন রশিদকে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ মারার হুমকি দেন। এ ঘটনায় ওই পিয়ন ডিএলও’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ থাকায় বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাও তাকে চারবার শোকজ করেছিলেন।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। আমাকেও চারবার শোকজ করা হয়েছিল। আমি সবগুলোর জবাব দিয়েছি। তাহলে আমি আমার নি¤œ কর্মকর্তাদের শোকজ করতে পারবো না কেন?
আবার বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শহিদুল ইসলাম বললেন, বিভিন্ন অনিয়মে ডিএলওকে কয়েকবার শোকজ করা হয়েছিল। আমি ঢাকায় আছি। রংপুরে গেলে বিস্তারিত কথা হবে।