পাগলাপীরে ভারী বর্ষনে শতাধিক পরিবার পানি বন্ধি গোলজার সহ ১৫ ব্যক্তির অর্ধকোটি টাকার পুকুরের মাছ ভেসে গেছে

হাবিবুর রহমান সেলিম, পাগলাপীর থেকে ঃ ভারী বর্ষনের পানিতে রংপুরের পাগলাপীরে ১০ গ্রামের শতাধিক পরিবার পানি বন্ধি ও পুকুর জলাসয়ে পানিতে তলিয়ে মাছ বেড়িয়ে যাওয়ায় গোলজার সহ ১৫ মৎস জীবী অর্ধ কোটি টাকা তির স্বীকার  এবং আমন ধান শাকসবজি সহ নিচু এলাকার পাড়া মহলার ভিতরে কাচা সড়কের উপর দিয়ে পানির স্রোত বয়ে যাওয়ায় মানুষজনের আহাজারী বেড়েই চলছে।
জানাগেছে টানা ৫দিন ধরে নিরবিচ্ছিন্ন মুসুলধারে বৃষ্টিপাতের মধ্যেদিয়ে গত বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার দিনভর ভারী বর্ষনের পানিতে পাগলপীরের ধনী পড়ার ক্যানেলের পাড়ের বাসীন্দা ইলিয়াস, হোসেন নাপিত, নামাপাড়ার আলমীর, দুলু মিয়া, হাজীপাড়ার মহব্বত, সোহাগ, মহাদেবপুর চওড়াপাড়ার আব্দুল মজিদ, সামছুল হোসেন, চাঁন মিয়া, ফজলুল হক, চকিদার, আমিনুর ইসলাম, পাগলাপীর স্কুল এন্ড কলেজের পিছনে সঙ্গীত শিল্পী রমজান আলী সরকার, চেয়াম্যান পাড়ার বাবুল মিয়া, রোশনা বেগম, এছাহাক, মুলা পাড়ার আব্দুল মালেক, নুরুন নবী, জমিদুল মেরীটকিজ সংলগ্ন চওড়া পাড়ার আফজাল, আজাহার, শহিদুল, হরকলি, বানিয়াপাড়া, বরন্তর, হাজড়ারজার সহ ১০ গ্রামের শতাধীক পরিবার পানি বন্ধি হয়ে পড়ছে। এই সব পানি বন্ধি মানুষের বাড়ীতে কারো হাটু পর্যন্ত কারো পায়ের গোড়ালী পর্যন্ত পানির স্রোত বয়ে যাচ্ছে। পানি বন্ধি কিছু সংখ্যক দরিদ্র পরিবার ভারী বর্ষনের কারনে কর্মে যেতে না পাড়ায় খাদ্য সংকটে এই সব পরিবার হা হুতাশায় পড়ছে। ভারী বর্ষনের পানিতে পাগলাপীরের হরকলি গ্রামের মৎসচাষী গোলজার রহমানের ২টি পুকুর, কিশামত হরকলি গ্রামের রায়হান চৌধুুরী সাগর ১টি পুকুর, ধনী পাড়ার মাহাবুব হোসেন লুলুর ২টি, মহাদেবপুর সরকার পাড়ার ভোলানাথ সরকারের একটি সহ ১৫ ব্যাক্তির ২০ টি পুকুর পানিতে তলিয়ে ও পারি ভেঙ্গে বিভিন্ন জাতের ভেসে গিয়ে অর্ধ কোটি টাকার তি স্বিকার হয়েছে। তি গ্রস্ত মৎস চাষীদের মধ্যে হরকলি গ্রামের গোলজার রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান তার ২টি পুকুর ১টি সারে ৩ এককর জমির উপর অপরটি নুর বিড়ির মালিকের কাছে বর্গা নেওয়া ২ এককর জমির উপর। নুর বিড়ি মালিকের কাছে বর্গা নেওয়া পুকুরে রুই কাতলা বির্গেট, তেলাপিয়া, সিলভার, গাসকাপ, হাংড়ি সহ নানান জাতের মাছ ওজনে ৪ থেকে ৫ কেজি হবে। এই সব জাতের মাছ ভাড়ী বর্ষনের পানিতে পুকুরের পাড়ি ভেঙ্গে ভেসে গেছে। গোলজারের নিজস্ব সারে ৩ এককর জমির পুকরটিরও একই অবস্থা পাড়ি ভেঙ্গে মাছ আখ, ধান েেত ভেসে গেছে। এতে মৎসচাষী গোলজার রহমানের প্রায় ১০ ল টাকা তি স্বিকার হয়েছে। বিশেষ করে বর্গা নেওয়া পুকুর হতে প্রায় সাড়ে ৬ ল টাকা তি স্বিকার তিনি হয়েছেন। বর্তমান মৎসচাষী গোলজার রহমান বর্গা নেওয়া পুকুরটির পাড়ি ভেঙ্গে যাওয়ার স্থানে জাল মশাড়ির কাপর বাশের বেড়া দিয়ে পাড়ি ঘেড়া দিয়ে মাছ রা করছেন। তবে তিনি আশাংঙ্কা করছেন আজ কালের মধ্যে আবারো ভারী বর্ষন হলে পুকুর ২টি আর রা করা যাবে না। মৎসচাষী গোলজার আবেগ জরিত কন্টে বলেন বর্ষাকাল শেষ হলে পুকুর ২টির মাছ ২০/২৫ ল টাকা বিক্রি করতেন, কিন্তু টানা ভারী বর্ষনে পানিতে পুকুরের পাড়ী ভেঙ্গে মাছ ভেসে যাওয়ায় তার সে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে গেল। এদিকে ভারী বর্ষনের পানিতে পানি বন্ধি আহাজারী মানুষের খোজে ও তাদের নামের তালিকা প্রনয়নে পাগলাপীরের আমরা মানবর্তার পে সেচ্ছাসেবী সংগঠন মুক্তির একঝাক তরুন কিশোর যুবক পাড়া মহলা ছুটে চলছে। মুক্তির প্রতিষ্ঠাতা কবির হোসেন প্রতিনিধিকে  জানান আমাদের সংগঠনের ল্য অসহায় মানুষের পাশে দারানো যদি পারেন আপনিও আমাদের সঙ্গে থেকে কাজ করে যান।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 3473793612318302649

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item