অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানিবন্দি ২০ হাজার পরিবার : ভেসে গেছে ঘরবাড়ি

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা অফিস :
গত কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রংপুরের গঙ্গাচড়ায় তিস্তার চরাঞ্চলসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়েছে। এতে ভেসে গেছে পুকুর, বিল ও মৎস্য খামারের প্রায় কোটি টাকার মাছ। তলিয়ে গেছে কয়েকশ’ একর আমন ও সবজি তে।
পানিবন্দি পরিবারগুলো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট। তিস্তার পানির ¯্রােতে ভেসে গেছে মটুকপুর, সাউদপাড়া এলাকার দুটি মার্জিনাল ডাইক। এছাড়াও প্রবল ভাঙ্গনে চিলাখাল এলাকার ৬ টি পরিবারে ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সরকারিভাবে কোন সহায়তা না পাওয়ায় পানিবন্দি পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। অনেকে ভাসমান চুলায় রান্না করে দিন কাটিয়ে দিচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা পানিতে ডুবে যাওয়ায় স্থানীয় হাট বাজারগুলো বন্ধ হয়ে গেছে।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত এক সপ্তাহ ধরে চলা অব্যাহত বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের বাঘ-ডোহরা, মিনার বাজার, চর নোহালী, চর বাগডহরা, বৈরাতি ও পূর্ব নোহালী, আলমবিদিতর ইউনিয়নের ব্যাংক পাড়া, জুম্মা পাড়া, জেলে পাড়া, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চিলাখাল, সাউদপাড়া, মটুকপুর, বিনবিনা, চর চিলাখাল, খলাইর চর, চর মটুকপুর ও সাউদপাড়া, লীটারী ইউনিয়নের চর শংকরদহ, পশ্চিম ইচলী, পূর্ব ইচলী, কলাগাছি, মধ্য ইচলী, জয়রামওঝা, চর ইশ্বরকোল, চর মহিপুর, বুড়িডাঙ্গী গ্রামে, গজঘন্টা ইউনিয়নের মহিষাশুর, কালির চর, রাজবলভ, চর ছালাপাক গ্রামে, মর্ণেয়া ইউনিয়নের নিলারপাড়, চর মর্ণেয়া, আলাল চর, রমাকান্ত, মহিষাশুর, চর মৌভাষা, রামদেব, কামদেব ও ভাঙ্গাগড়া গ্রামে, গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের চর ধামুর, মাঝাপাড়া ও দোলা গান্নাসহ বেতগাড়ী ও বড়বিল ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মুটুকপুর গ্রামের পানিবন্দি নবিউল ইসলাম ও রুনি বেগম বলেন, ৩দিন থেকে পানি বন্দি হয়ে আছি। এর ফলে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে।
গজঘন্টা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে ৬ টি ওয়ার্ডের প্রায় ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোকে এখনো সরকারিভাবে কোন সহায়তা প্রদান করা সম্ভব হয়নি।
কোলকোন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুর ইসলাম জানান, অব্যাহত বর্ষণের ফলে তার ইউনিয়নের ৫ গ্রামের ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে রয়েছে। পানিবন্দি পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
উপজেলা মৎস্য অফিসার রেজাউল কবীর জানান, প্রবল বর্ষণের কারণে প্রায় ৫ শতাধিক পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার মাছের তির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পানিবন্দি পরিবারগুলো মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় এখন পযন্ত কোন পরিবার সহায়তা করা সম্ভব হয়নি।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8122897295936296831

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item