জলঢাকায় চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণ ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন, গ্রেপ্তার নেই
https://www.obolokon24.com/2015/08/joldhaka_3.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার গোলমু-া ইউনিয়নের ভাবনচুর গ্রামের একটি সরকারী আবাসন প্রকল্পে থাকা চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রী (১২) ধর্ষণের অভিযোগে শনিবার দুপুরে জলঢাকা থানায় মামলা হওয়ার পর রোববার শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। ঘটনার দুইদিন পর মামলা হলেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।শিশুটি ওই এলাকার চৈতন্যঘাট এফতেদায়ী মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরের ওই ঘটনার পর ধর্ষক মোস্তাফিজুর রহমান (১৮) আত্মগোপন করে। অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর একই ইউনিয়নের ভাবনচুর বেলাল মেম্বার পাড়া গ্রামের জহুরুল হকের ছেলে।ঘটনার দুইদিন পর শনিবার সকালে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ও তার ভগ্নিপতি হাফিজুর রহমানকে আসামী করে জলঢাকা থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয় বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবেশী হাফিজুর রহমান শিশুটিকে তার বাড়িতে ডেকে নেয়। এসময় তার বাড়িতে অবস্থান করছিলো হাফিজুরের শ্যালক মোস্তফিজুর রহমান। হাফিজুরের সহযোগিতায় মোস্তাফিজুর শিশুটিকে একটি ঘরে আটকিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ধর্ষক মোস্তফিজুর ও হাফিজুর পালিয়ে যায়।জলঢাকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, ওই ঘটনায় শিশুটির বাবা জমসেদ আলী গত শনিবার দুপুরে থানায় এসে দুইজনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। রবিবার দুপুরে নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।প্রকাশ থাকে যে ”জলঢাকায় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণের শিকার” শিরোনামে অনলাইন পত্রিকায় অবলোকনে সংবাদ প্রকাশিত হয়।