বিয়ের প্রেলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধীর কন্যার সাথে প্রতারণা ১ লক্ষ ৫০ হাজারে দফারফা

এ.আই. পলাশ ঃ দীর্ঘ তিন বছর ধরে  এক লম্পট একই এলাকার প্রতিবন্ধীর কন্যার সাথে প্রেমের অভিনয় করে তার সর্বস্ব লুটে নিয়ে সেই লম্পটের ভগ্নিপতিসহ প্রকাশ্য দিবালোকে সেই মেয়েকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তিনদিন অন্যত্র সরিয়েরেখে আবারো সেই মেয়েকে প্রতিবন্ধী পিতার বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়। অবশেষে সেই প্রতিবন্ধীর কন্যাটি লম্পট প্রেমিকের ভগ্নিপতির বাড়িতে ন্যায্য বিচারের আশায় আশ্রয় নেয়। বর্তমানে এলাকায় এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ন্যায্য বিচারের আশায় এলাকার মানুষ এই লম্পট প্রতারক ও প্রভাবশালী যুবকের বিচার দাবী করছে। সেই সুযোগে লম্পট  জিল্লুরের পিতা প্রভাব শালী ইউপি সদস্য প্রতিবন্ধীর পরিবারকে জীবন নাশের হুমকি দেয় এবং সেই মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তার লম্পট পুত্রকে সেই রসানলের হাত থেকে বাঁচিয়ে নেয়ায় এক চাঞ্চল্যকর অবস্থা সৃষ্টির হয়েছে।

 জানা গেছে , নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের তেলীপাড়া এলাকার প্রতিবন্ধী মঙ্গুলুর কন্যা মির্জাগঞ্জ হাই স্কুলের নবম শ্রেনীর ছাত্রী (১৪) এর সঙ্গে এই এলাকার প্রভাব শালী ইউপি সদস্য মোশারেফ হোসেন (ঢোল) এর লম্পট পুত্র জিল্লুর রহমান (১৫) দীর্ঘ তিন বছর যাবত মন দেয়া নেয়া চালিয়ে আসছিল। এরই এক পর্যায়ে প্রতিবন্ধী মঙ্গুল স্ত্রী হ্যাপি বেগম অসুস্থ হলে তাকে ডোমার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই সুযোগে লম্পট জিল্লুর রুবির বাড়িতে প্রবেশ করে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে তার সাথে অবৈধ মেলা মেশার সময় লম্পট জিল্লুরের মা ও এলাকাবাসী হাতে নাতে কয়েকবার ধরে ফেলে।  লম্পট জিল্লুরের পিতা প্রভাবশালী ইউপি সদস্য হওয়ায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছিল প্রতিবন্ধী মঙ্গুলুর পরিবার। অবশেষে এই গরীব পরিবারটি ন্যায্য বিচার না পেয়ে তার কন্যা রুবির বিয়ে অন্যত্র ঠিক করে। কিন্তু লম্পট জিল্লুর ও তার ভগ্নিপতি রুবেল একত্রিত হয়ে বিয়ের পূর্বেই রুবিকে ফুসলিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে বাড়ি থেকে গত ২১শে জুলাই ২০১৫ইং রাতে  নিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার তিন দিন পর গত ২৪শে জুলাই এই দুই লম্পট পুনরায় প্রতিবন্ধী মঙ্গুলুর বাড়িতে মেয়েটিকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী রুবিকে লম্পট জিল্লুরের ভগ্নিপতি রুবেলের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় । অবশেষে সেই প্রভাবশালী ইউপি সদস্য কিছু মধ্যস্থকারীর মাধ্যমে পঙ্গুর পরিবারের ইজ্জত হরণের মুল্য হিসাবে ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মামলা থেকে রেহাই পান। উল্লেখ্য এই ইউপি সদস্য ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে এই ধরণের বহু অভিযোগ  রয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 3987821919343217614

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item