ডিমলা বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃনীলফামারীর ডিমলায় শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও দুনির্তী, স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারী অর্থ আত্বসাধের অভিযোগ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মঙ্গলবার বিকালে বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক ইমান আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।জেলা শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে২০১৩ সালের ৩ জুলাই প্রধান শিক ইমান আলী সোনালী ব্যাংক ডিমলা শাখায় অবৈধভাবে নিয়োগ প্রাপ্ত সহকারী শিকিা রোজিনা আক্তার জাহানের হিসাব নং -১৫৪১ (কম্পিউটার কৃত নং-৩৪০৮৩৪২৬) থেকে ৭০হাজার টাকা  উত্তোলন করেন। গত ২০ মার্চ তারিখে বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরজনিত কারনে মৌলভী শিকের এমপিও আবেদনপত্র জমার সময় প্রধান শিক ইমান আলী বিদ্যালয়ের প্রতিবেদন ২জন মহিলা শিক নাসরিন আক্তার ও রেজিনা আক্তার জাহানকে ১ নভেম্বর ২০০৬ সালে এমপিও হয়েছে মর্মে প্রতিবেদন প্রদান করেন। ১ নভেম্বর ২০১২ সালের উক্ত ২ মহিলা শিকের এমপিওর অনুমতি পেলেও কিভাবে ৬ বছর আগে এমপিও প্রতিবেদন জমা হয়েছে বিষয়টি কতৃপ সদউত্তর দিতে পারেনি।

২০১৩ সালের ৩০জুন একজন সহকারী শিকিার বেতন প্রদান করে প্রধান শিক্ষক। ভুয়া এমপিও কাগজ তৈরির মুল হোতা জাবেদ আলী ও জেলা শিা অফিসের অফিস সহকারী আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রক্রিয়া শুরু করেছে শিক্ষা অফিস। ইমান আলী জাল কাগজ তৈরি করে রেজিনা আক্তার জাহান ও নাসরিন আক্তার নামে দুইজন শিককে এমপিও ভুক্ত করেন ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান হাবীর বলেন, ২০০৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারী রোজিনাকে নিয়োগের যে তথ্য বিদ্যালয় দিয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা। তিনি বলেন ২০০৪ সাল থেকে ২০১২ সালের বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক প্রতিবেদনে রোজিনা আক্তার জাহান ও নাসরিন আক্তারের নাম পাওয়া যায়নি। জেলা শিা অফিসে বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২জন শিক্ষকের এমপিও (মাসিক পে-অর্ডার) অনুমোদনের জন্য মহাপরিচালকের পাঠানো কাগজপত্রের জেলা কর্মকর্তার স্বাক্ষর ছিল না মর্মে সে সময় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম দাবী করেছিলেন। একটি চক্র জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বার জাল করে এমপিও নিয়ে আসে।
বিদ্যালয়ের ভুয়া শিক্ষকের এমপিও বন্ধ ও তথ্য সরবরাহের জন্য প্রধান শিক ইমান আলীকে উমাশিঅ/ডিম/তদন্ত/২৫/২০০৮/২৮৫ তাং-১০/০১/১৩ইং,  উমাশিঅ/ডিম/তদন্ত/২৫/২০০৮/৩০২ তাং-৩১/০১/২০১৩ইং ও উমাশিঅ/ডিম/তদন্ত/২৫/২০০৮/৩৬১(১) তাং-১৫/০৪/২০১৩ইং তিনটি চিঠি প্রদান করলেও কোন উত্তর দেয়নি প্রধান শিক। শিক নিয়োগে অনিয়ম ও দুনির্তী, স্বেচ্ছাচারিতা, সরকারী অর্থ আত্বসাধের অভিযোগ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজিজুল ইসলাম তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। বালাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আজিজুল ইসলাম ঘটনার সতত্যা স্বীকার করেন বলেন, বিদ্যালয়টিতে প্রধান শিক্ষক ইমান আলীর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুনির্তীর অভিযোগ উঠায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত মেতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক না থাকায় সিনিয়র শিক ওয়াহেদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

শিক্ষা-শিক্ষাঙ্গন 7603941727795060916

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item