প্রকল্প চেয়ারম্যানের গা-ঢাকা ডিমলায় প্রকল্পের কাজ না করেই চাল আতœসাতের সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি

জাহাঙ্গীর আলম রেজা,ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
নীলফামারীর ডিমলায় কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পের ১১ মেট্রিক টন চাল আতœসাতের সত্যাতা পেয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। বুধবার দুপুর থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত প্রকল্পের অনিয়ম আত্বসাতের তদন্তে তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মশিয়ার রহমান প্রকল্প বাস্তবায়নস্থলে গিয়ে কোন প্রকার কাজ দেখতে পায়নি। এ সময় তদন্ত টিমের কাছে কাবিখা প্রকল্পের টাকা হরিলুটের স্যা দিয়েছে এলাকার উপস্থিত শতশত নারী পুরুষ। এ সময় প্রকল্পটির চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়নি।
এমনকি তদন্ত কমিটির প্রধান একাধিকবার প্রকল্প চেয়ারম্যানকে মোবাইল ফোন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হতে বলেন ও তিনি আসেনি মর্মে তদন্ত কর্মকর্তা স্বীকার করেন। তদন্তে পরথেকে প্রকল্প চেয়ারম্যান গা-ঢাকা দিয়েছে। গত ৪ আগষ্ট কয়েকটি জাতীয়œ পত্রিকায়”ডিমলায় কাবিখা প্রকল্প হরিলুট” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনে তোলপাড় শুরু হয়। উক্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে ও অভিযোগকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় (ত্রান শাখা) স্বারক নং-৫১.০১.৭৩১২.০০০.২৭.০০১.১৫ তাং ৬ আগষ্ট প্রকল্পটি তদন্তের জন্য গত ১০ আগষ্ট সকাল সাড়ে ১১টায় প্রকল্পস্থলে তদন্ত অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় নির্ধারন করেন। তদন্তের সময় অভিযোগকারী, প্রকল্পের চেয়ারম্যানসহ কমিটির সদস্য ও খালিশা চাপানি ইউপি সকল সদস্য ও এলাকাবাসীকে উপস্থিত হওয়ায় চিঠি প্রদান করা হয়। এলাকার শত শত জনসাধারন তদন্তে কাজে অনিয়মের স্ব্যা প্রদানের জন্য দীর্ঘসময় অপো করলেও। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) মশিয়ার রহমান সেদিন তদন্তে যায়নি। এ সময় এলাকাবাসী রাস্তায় দাড়িয়ে তদন্তের দাবীতে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন করেন। বুধবার পুনরায় তদন্তের জন্য চিঠি প্রদান করা হয়। গত ১২ আগষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তের সময় প্রকল্পটির চেয়ারম্যানসহ প্রকল্পের সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিল না। তদন্তকালে প্রকল্পের মাটির কাজ কিংবা সোলার প্যানেল স্থাপনের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা। তিনি বলেন,একাধিকবার প্রকল্প চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিনকে উপস্থিত হওয়ার জন্য মোবাইল করলেও সে তদন্ত স্থলে হাজির না হয়ে গা ঢাকা দেয়। এলাকাবাসী অভিযোগ করে জানায়, খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন, রাস্তায় মাটি ভরাট ও কোন সোলার প্যানেল বিতরন না করেই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসকে ঘুষ দিয়ে কাবিখা প্রকল্পের বিল উত্তোলন করেন। জানা যায়, খালিশা চাপানি ইউনিয়নের ১নংওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পের ১৩ মেট্রিক টন গমের পরিবর্তে খাদ্য অধিদপ্তরের ১১ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করে বিক্রি করে দেয়।  ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের ২য় পর্যায়ের কাবিখা প্রকল্পের ৯নং প্রকল্পটি নুরল ইসলামের বাড়ী হতে আজমের বাড়ির পাশ দিয়ে মেহের আলী বাড়ী পর্যন্তুু রাস্তা মেরামতের জন্য বরাদ্দ দেয়া হলেও মাটির কাজ না করে চাল তুলে আত্বসাৎ করেছে ইউপি সদস্য তফেল উদ্দিন। ছোটখাতা গ্রামের আফাজ উদ্দিন বলেন, রাস্তার নামে প্রকল্প দেখিয়ে লুটপাট করা হয়েছে। এমনকি প্রকল্পের কমিটির যাদের নাম দেয়া হয়েছে তারা জানে না কিভাবে প্রকল্পটিতে তাদের নাম অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। কাবিখা প্রকল্পের সেক্রেটারী সহির উদ্দিন বর্তমানে ২ বছর থেকে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ীতে বসবাস করে। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিমলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অঃ দাঃ) মশিয়ার রহমান বলেন, আমি মাটির কাজটি তদন্ত করেছি। তদন্তের সময় অভিযোগকারী এলাকাবাসী ও ইউপি সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও। প্রকল্প বাস্তয়নের সাথে জড়িত ও প্রকল্প চেয়ারম্যান এ সময় উপস্থিত ছিল না। তদন্তে দেখা যায়, মাটির কাজ করা হয়নি। প্রকল্প চেয়ারম্যান প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে এমন কোন তথ্য বা বাস্তবায়িত কাজ তারা দেখাতে পারেনি। আগামী সপ্তাহে সোলার প্যানেল পরিদর্শন শেষে তদন্তের প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট জমা দেয়া হবে বলে তিনি জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, আমি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছি। তদন্তের প্রতিবেদক মেতাবেক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2943491740285809290

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item