ভরা মওসুমে তারাগঞ্জ তিস্তা ক্যানেল পানিশূন্য ১ হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার আশংকা
https://www.obolokon24.com/2015/07/tista.html
মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
বর্ষার ভরা মওসুমে বিপথসীমার উপর দিয়ে তিস্তায় পানি প্রবাহিত হলেও তারাগঞ্জের তিস্তা ক্যানেল পানিশূন্য। এর ফলে অনেক কৃষক তাদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছেন না। অনেকে যারা কষ্ট করে চাষাবাদ করেছেন পর্যাপ্ত পানির অভাবে তাদের অর্ধেক ফসলই নষ্ট হওয়ার আশংকা করছেন।
সম্প্রতি তারাগঞ্জ এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওই এলাকার প্রায় ৮ হাজার মানুষ কৃষির সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায় তারাগঞ্জ উপজেলা প্রসার ঘটালে কৃষকরাও পাল্লা দিয়ে শুরু করেন, ধান, পাট, ভুট্টাসহ বিভিন্ন মওসুমের চাষাবাদ। ব্যবসায় প্রসার ঘটিয়ে চাষাবাদে বিপ্লব ঘটাতে পানির জন্য ওই এলাকার তিস্তা ক্যানেল খননের দাবি জানালেও তা উপেতি হয়েছে।
কৃষকরা জানায়, প্রচন্ড খরায় যখন ওই এলাকার খালবিল শুকিয়ে যায় তখন চাষাবাদে একমাত্র ভরসা থাকে তিস্তা ক্যানেলটি। কিন্তু সংস্কারের অভাবে ভরা মওসুমে তিস্তা নদীতে বিপথসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও তিস্তা ক্যানেল পানিশূন্য হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে।
কৃষি বিভাগ বলেন, তারাগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে চাষাবাদের ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ধান, পাট, আদা, হলুদসহ একাধিক ফসল। কিন্তু পর্যাপ্ত পানির অভাবে ল্যমাত্রা অর্জিত হবে কিনা এনিয়ে চিন্তিত কৃষকসহ কৃষি বিভাগ। পানির অভাবে ১ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে মন্তব্য তাদের। তারাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী কিশোরগঞ্জ এলাকার তিস্তা ক্যানেলটি পানিতে ভরপুর থাকলেও খননের অভাবে তারাগঞ্জ এলাকায় তিস্তা ক্যানেলটি খা খা করছে। অতিসত্বর এ ক্যানেলটি খনন করে কৃষকদের চাষাবাদে আগ্রহ বাড়াতে দাবি জানান কৃষি বিভাগ।