রংপুরে নতুন টাকার ব্যবসা জমজমাট

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা অফিস : 
নগরীতে জমে উঠেছে নতুন টাকার ব্যবসা। পুরাতন টাকা ব্যবসায়ী ছাড়াও নতুন করে এ ব্যবসায় যোগ দিয়েছেন অনেকে। ঈদ বখশিস, যাকাত, ফিতরা দিতে লোকজন তাদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছেন নতুন টাকার নোট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলছে এ ব্যবসা। 

অভিযোগ রয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক রংপুর শাখার অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহায়তায় মৌসুম ব্যবসায়ীরা এই চালিয়ে যাচ্ছেন। 
টাকা ব্যবসায়ীরা জানান, তারা প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা দৈনিক বিক্রি করছেন।
এতে তাদের আয় হয় ২ হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত। ঈদে নতুন টাকার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিবছরই ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। 
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর সিটি বাজারের সামনের ফুটপাতে টাকার পসরা সাজিয়ে বসে আছেন টাকা ব্যবসায়ীরা। ক্রেতাদের ভিড়ও চোখে পড়ার মতো। বিভিন্ন স্থানে টুল নিয়ে বসে এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। শুধু নতুন টাকা নয়, পুরাতন ও ছেঁড়া টাকার ব্যবসাও করে তারা। অর্থাৎ কমিশন ভিত্তিতে পুরাতন ও ছেঁড়া টাকা বদল দেয় টাকা ব্যবসায়ীরা। বছরের অন্যান্য সময়ে নতুন টাকার ব্যবসা তেমন একটা চলে না বলে জানান এখানকার ব্যবসায়ীরা।
নতুন টাকা বিক্রেতা আবুল হোসেন, তারা মিয়া ও বাবুল মিয়া জানান, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতির এক টাকার ১০০টি মুদ্রা  বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়।  ৫০০টি দুই টাকার নতুন নোটের দাম এক হাজার ২৫ টাকা, ২শ’ টি ৫ টাকার নোট ও ১’শ টি ১০ টাকার নোট ১ হাজার ৬০ টাকা, আর ৫০ টি ২০ টাকার নোট কিনতে হচ্ছে ১ হাজার ৮০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায়। এসব নোটেরই চাহিদাই বেশি। তাছাড়া আছে ১০০, ৫০০ ও ১ হাজার টাকার নতুন নোট। 
নতুন টাকা ক্রেতারা জানান, ব্যাংকে গিয়ে টাকা না পাওয়ায় আর ঝামেলা এড়াতে লোকজন এসব ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নতুন টাকা সংগ্রগ করে থাকে।
ক্রেতাদের অভিযোগ ব্যাংকে গেলে কর্মকর্তারা সরাসরি নতুন টাকা নেই বলে বিদায় করে দেন। তবে পরিচিত হলে নতুন টাকা পাওয়া যায়। 
টাকা ক্রেতা তানিয়া তাবাসসুম জানান, তিনি ব্যাংকে গিয়েছিলেন কিন্তু টাকা পাননি, তাই বাধ্য হয়ে এখান থেকে নতুন টাকা কিনে নিচ্ছেন। অভিযোগ রয়েছে, ঈদ উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ নতুন টাকা আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য তফসিলি ব্যাংকে নতুন টাকা সরবরাহ করে কিন্তু সাধারণ মানুষ নতুন টাকা না পেলেও টাকা ব্যবসায়ীরা যথাসময়ে তা পেয়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কতিপয় কমকর্তা-কর্মচারীদের সহায়তায় এক শ্রেণীর দালালচক্র ব্যাংক থেকে নতুন টাকা সংগ্রহ করে বাইরে বেশি দামে বিক্রি করে।
এব্যাপারে বাংলাদেশে ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, দালালদের অপতৎপরতা ঠেকাতে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কঠোর নজরদারি করছে এবং এক ব্যক্তি একবারে একই মূল্যমানের ১শ’ পিসের এক বান্ডিলের বেশি টাকা বিনিময় করতে পারবেন না।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5761533320178332618

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item