সৈয়দপুরে খেলনা শিল্প হতে পারে লাভজনক খাত
https://www.obolokon24.com/2015/07/saidpur_28.html
মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
সৈয়দপুরের তৈরী খেলনা শিা হতে পারে দেশের লাভজনক খাত। বাণিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত এলাকা সৈয়দপুরের মানুষ যেকোন জিনিস একবার দেখলেই তা হুবহু তৈরী করে ফেলেন। চায়না বা ভারতের তৈরী অনেক জিনিসই যা সৈয়দপুরে তৈরি হয় তা দেখলে মনেই হবেনা কোনটা আসল বা কোনটা হুবহু নকল। গত কয়েক বছর আগে এ শহরে প্লেনও তৈরী করেছিল এক যুবক। যা অনেককেই তাক লাগিয়েছিল। কিন্তু সুযোগ ও অর্থের অভাবে সব সম্ভাবনাই চাপা পড়ে রয়েছে।
ছোটুয়া নামের ক্যাম্পের এক ব্যবসায়ী জানান, সারা দেশের ন্যায় সৈয়দপুরেও ভরে গেছে চীন ও ভারতের খেলনা দিয়ে। যা আমদানি করতে সরকার কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে হয়েছে। তিনি বলেন, চীন বা ভারতের যেসব খেলনা দেশে আমদানি করা হচ্ছে তার চেয়ে অনেক ভাল খেলনা সৈয়দপুরেই তৈরি করা সম্ভব। শুধু দরকার সরকারের সুদৃষ্টি।
সৈয়দপুরের তৈরী খেলনা শিা হতে পারে দেশের লাভজনক খাত। বাণিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত এলাকা সৈয়দপুরের মানুষ যেকোন জিনিস একবার দেখলেই তা হুবহু তৈরী করে ফেলেন। চায়না বা ভারতের তৈরী অনেক জিনিসই যা সৈয়দপুরে তৈরি হয় তা দেখলে মনেই হবেনা কোনটা আসল বা কোনটা হুবহু নকল। গত কয়েক বছর আগে এ শহরে প্লেনও তৈরী করেছিল এক যুবক। যা অনেককেই তাক লাগিয়েছিল। কিন্তু সুযোগ ও অর্থের অভাবে সব সম্ভাবনাই চাপা পড়ে রয়েছে।
ছোটুয়া নামের ক্যাম্পের এক ব্যবসায়ী জানান, সারা দেশের ন্যায় সৈয়দপুরেও ভরে গেছে চীন ও ভারতের খেলনা দিয়ে। যা আমদানি করতে সরকার কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করতে হয়েছে। তিনি বলেন, চীন বা ভারতের যেসব খেলনা দেশে আমদানি করা হচ্ছে তার চেয়ে অনেক ভাল খেলনা সৈয়দপুরেই তৈরি করা সম্ভব। শুধু দরকার সরকারের সুদৃষ্টি।
আফতাব নামের অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি বছর যে অর্থ দিয়ে চীন ও ভারত থেকে খেলনা আমদানি করা হয় সে অর্থ দিয়ে যদি বিদেশ থেকে কম্পিউটারাইজড মেশিন দেশে আনা হয় তাহলে অনেক ভাল খেলনা দেশেই তৈরি হবে এবং খরচও পড়বে অনেক কম। চীন ও ভারতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খেলনার ব্যবসা করা যাবে দেশ বিদেশে।
বদিয়ার নামের এক খেলনা তৈরীর কারিগর বলেন, সরকারের প থেকে সুযোগ ও সহযোগিতা মেলে তাহলে প্লেন, রকেট, হেলিকপ্টারসহ অতি উন্নতমানের খেলনা সৈয়দপুরে তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব। কিন্তু অর্থাভাবে সকল সম্ভাবনাই মুখ থুবরে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নাগরিক উন্নয়ন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আলী সরকার বলেন, সৈয়দপুরের তৈরি খেলনার চাহিদা বেড়েছে দেশে ও বিদেশেও। লাভজনক শিল্পখাত হিসেবে এ শহরের খেলনা কারিগরদের সরকারের প থেকে মদদ মিললে শুধু উত্তরাঞ্চলেই নয়, সারাদেশে খেলনা শিল্পের চিত্রই পাল্টে যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ২০১৪ অর্থ বছরের প্রথম ১০ মাসে খেলনা শিল্প মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার এবং নিষ্পত্তি হয়েছে ৯০ লাখ মার্কিন ডলারের। বরাদ্দকৃত আমদানি যন্ত্রপাতি ও কিছু সহযোগিতা পেরে সৈয়দপুরের মানুষ খেলনা শিল্পে বিপ্লব ঘটাতে পারবে এবং সরকারের মুল লাভজনক খাতও হতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি।