স্বর্ণালংকার ক্রয়েয় ঘটনা জানতে চাওয়ায় রংপুরে স্বর্ণ ক্রেতাসহ ৫/৬জনের বিরুদ্ধে স্বর্ণালংকারের মালিক ও তার নিকটাত্মীর উপর হামলা

হাজীমারুফ রংপুর -
চোরের স্বীকারোক্তিমতে আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ক্রয়েয় ঘটনা জানতে চাওয়ায় স্বর্ণ ক্রেতাসহ ৫/৬ সংবঘবদ্ধ হয়ে স্বর্ণালংকারের মালিক ও তার নিকটাত্মীয় অপর স্বর্ণ ব্যবসায়ির উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনা ঘটেছে রংপুর নগরীর বেতপট্টি ডিসি হকার্স মার্কেট এলাকায়। চোরাই স্বর্ণ ক্রয় করার ঘটনায় বেশ সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, রংপুর নগরীর নীলকন্ঠ আটিয়াটারী এলাকার মৃত হিরন কুমার রায়ের ছেলে বিপ্লব রায় স্বস্ত্রীক নিয়ে গত ১৬জুলাই বিকেলে নীলফামারীর ডালিয়া শটিবাড়ী গ্রামস্থ শ্বশুড়বাড়িতে বেড়াতে গেলে সপ্তাহখানিক পরে ফিরে আসে। পরে সপ্তাহখানিক পরে বাড়িতে ফিরে ঘরে প্রবেশ করে দেখে বিছানাসহ আসবাবপত্র এলোমেলো দেখে বিপ্লব ও তার স্ত্রীর সন্দেহ দেখা দেয়। এসময় স্টীলের আলমারি খোলার হাতলে হাত দেওয়া মাত্রই খুলে যায়। ডয়ারে রাখা গহনা দেখতে না পেয়ে আত্মচিৎকার দিয়ে ওঠে বিপ্লবের স্ত্রী। এসময় বিপ্লবের ও ছোট ভাইকে ডেকে ঘটনার কথা অবগত করলে তারা উভয়ে বলেন, কয়েকদিন আগে এলাকার বিজয় রায়ের ছেলে অনুপ কুমার রায় (২৫) বিপ্লবের ঘরে ঢুকে টেলিভিশন দেখেছিল। ১৬জুলাই থেকে ২৪জুলাইয়ের মধ্যে যে কোন সময় চাবি সংগ্রহ করে আলমারির খুলে আড়াই ভরি ওজনের মধ্যে ১০আনা ওজনের ১টি চেইন, ৬আনা ওজনের ১জোড়া কানফুল, ৫আনা ওজনের  জোড়া কানটানা, ৪আনা ওজনের ৩টি আংটি মোট ১২আনা ও ৭আনা ওজনের ২জোড়া দুল স্বর্ণালংকার চুরি করে। এঘটনা জানা জানি হওয়ার পর থেকে অনুপের গতিবিধি লক্ষ্য দেখা যায় কিছু টাকা ও একটি নতুন মোবাইল ফোন ব্যবহার করায় পরিবারের সন্দেহ হয়। এতে অনুপের পিতা বিজয় কুমার রায়কে বিষয়টি অবগত করা হলে সকলে মিলে অনুপকে গত ২৭জুলাই রাত ৮টারদিকে জিজ্ঞাসা করার এক পর্যায়ে অলংকার চুরির বিষয়টি স্বীকার করে এবং নগরীর বেতপট্টিস্থ স্বর্ণের দোকান মিঠুন জুয়েলার্সে বিনা ওজনে নগত ১৩হাজার ৬শ’টাকায় বিক্রি করে।  একথা শুনে অনুপকে সাথে নিয়ে বিপ্লব রায় তার নিকটাত্মীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ি কামাল কাছনা বৈরাগী পাড়ার মৃত নলিন চন্দ্র রায়ের ছেলে কৃষ্ণ চন্দ্র রায়সহ ৩/৪জন ঘটনা যাচাইয়ের জন্য যায়। এসময় চুরি যাওয়া অলংকার ক্রয় করা মানিক ও তার ছেলে মিঠুণকে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে অলংকার ক্রয়ের কথা স্বীকার করেন। অলংকার কেনার বিষয়ে উভয়ের কথাবর্তায় গড়বিল দেখা দিলে মানিক ও মিঠুন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এসময় মানিক ও মিঠুন উত্তেজিত হয়ে বিপ্লবের নিকটাত্মীয় স্বর্ণ ব্যবসায়ি কৃষ্ণ চন্দ্র রায়ের উপর চড়াও হয়ে ওঠে এবং মানিকের অপর সহযোগী সঞ্চয়সহ ৫/৬জন  এলোপাতাড়ি ভাবে নাকে ও মুখে মারধর করে। প্রাননাশের হুমকি দিলে কৃষ্ণ চন্দ্র রায় আত্মরক্ষার জন্য পাশের ব্যবসায়ি শাহিনুর দোকানে ঢুকে নিজেকে রক্ষা করে। পরে অবস্থার বেগতিক দেখে হামলাকারিরা ঘটনাস্থল থেকে সটকে।
এব্যাপারে বিপ্লব রায় বাদি হয়ে ২৮জুলাই রংপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে বিপ্লব রায় বলেন, মামলা দায়েরের ৪৮ঘন্টা পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতার নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এব্যাপারে স্বর্ণ ব্যবসায়ি কৃষ্ণ চন্দ্র রায় বলেন, মানিক ও মিঠুন তাকে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়েছে এবং তার পকেটে থাকা ব্যবসায়িক ২লাখ টাকা ও  ২ভরি ওজনের ১জোড়া স্বর্ণের চুর ছিনিয়ে নিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রংপুর কোতয়ালী থানার এসআই রায়হান মোবাইল ফোনে প্রথম খবরকে বলেন, আজ (বুধবার) আমি সারাদিন বাইরে ডিউটিতে ছিলাম, থানায় এখনো যায়নি। এধরণের মামলার কোন কাগজপত্র এখনো আমি পাইনি।
অপরদিকে রংপুর কোতয়ালী থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল কাদের জিলানী অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে মোকবাইল ফোনে বলেন, এব্যাপারে মামলা হয়েছে।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 8304261333951191234

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item