রংপুরেঈদে হাতে তৈরী চটি স্যান্ডেলের চাহিদা ব্যাপক
https://www.obolokon24.com/2015/07/rangpur_8.html
হাজী মারুফ রংপুর বুরে্যা অফিস : রংপুরে
হাতে তৈরী চামড়ার চটি স্যান্ডেল এখন জনপ্রিয়
হয়ে উঠেছে। দামে সস্তা দেখতেও সুন্দর হওয়ায় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে খুব সহজেই। ঈদ উপলক্ষ্যে হাতে তৈরী এসব স্যান্ডেলের দোকানে ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।ঈদ মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নগরী বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠেছে এর কারখানা। এ পেশার সাথে নতুন করে যুক্ত হয়েছেন অনেকে।
স্থানীয়
বাজার থেকে চামড়া, চামড়ার আস্তর, ফাইবার, ইনসোল, রেক্সিন, প্রাইম সোল ও আঠার সমন্বয়ে স্যান্ডেল তৈরী করছেন
নগরীর মুচি সম্প্রদায়ের লোকজন। স্যান্ডেল তৈরীর কারিগর রাজন দাশ, বাবু, সঞ্জয় দাশ, স্বপন দাশ জানান, সারা দিনে ১২ থেকে ১৫ জোড়া স্যান্ডেল বানাতে পারেন তারা।
তাদের মধ্যে যারা সেলাই মেশিন এবং ঘষার জন্য গ্রান্ডিং মেশিন ব্যবহার করেন। দিনে ২ জোড়া পর্যন্ত স্যান্ডেল বানাতে পারেন তারা।প্রতি ড’জন স্যান্ডেলের মজুরী বাদে খরচ পড়ে ৩ হাজার
টাকা। পাইকারী বিক্রি হয় ৩ হাজার ৫’শ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রতি জোড়া স্যান্ডেলের খুচরা মূল্য ডিজাইন ভেদে ৩’শ ৫০ টাকা থেকে ৪’শ ৫০ টাকা পর্যন্ত।নগরীর জুম্মাপাড়া, দর্শনা, বাহার কাছনা, টিকাদার পাড়া, কামাল কাছনাসহ বিভিন্ন এলাকায় তৈরী হচ্ছে স্যান্ডেল। এ সকল এলাকার কারখানার মালিকেরা দিনে গড় উৎপাদন করে ২’শ থেকে ২৫০
জোড়া স্যান্ডেল। । কারাখানার
মালিকরা জানালেন, তারা রমজানের আগে থেকেই স্যান্ডেল তৈরী করছেন। স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে আশে পাশের জেলা উপজেলায় সরবরাহ করছেন তাদের তৈরী স্যান্ডল।ব্যবসায়ী
লেলিন জানালেন, তার পলাশবাড়ী কারখানায় বিভিন্ন উপজেলার পাইকাররা এসে তৈরীকৃত স্যান্ডেল কিনছেন এবং অর্ডার দিয়ে যাচ্ছেন।তিনি জানান, কাঁচামাল স্থানীয় বাজার থেকে না কিনে সরাসরি মোকাম থেকে কিনতে পারলে বেশী লাভের মুখ দেখতে পারতেন। তাছাড়া তৈরী প্রক্রিয়ায় মেশিনের সহযোগীতা পেলে ব্যবসা আরো বাড়ানো যেত বলে তাদের ধারণা ।
সরকারী
পৃষ্ঠপোষকতা
কিংবা ব্যাংক ঋণ পেলে এই কুটির শিল্প বড় আকারে করে গোটা উত্তরাঞ্চলসহ দেশের নিম্ন আয়ের মানুষের স্যান্ডেলের চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি এ অঞ্চলে কর্মক্ষেত্রের পরিবেশ তৈরী হবে বলে মনে করেন অনেকেই।