সেমাইয়ের চকচকে মোড়ক বিভ্রান্ত ক্রেতারা মার খাচ্ছে রংপুরের সুস্বাদু সেমাই
https://www.obolokon24.com/2015/07/rangpur_47.html
হাজী
মারুফ রংপুর বুরে্যা অফিস :
ঈদ মানেই
সেমাই দিয়ে আতিথেয়তা। আর রংপুরের প্রসিদ্ধ মোটা সেমাই ও লাচ্ছা তৈরিতে
এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এখানকার
শত শত শ্রমিক।
ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে তারা রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। গমের
ময়দা পানিতে মিশিয়ে
তৈরি করা হয় খামির। তারপর
এই খামিরকে মেশিনে
প্রক্রিয়াজাতের পর তৈরি
হয় কাঁচা সেমাই।
সেই সেমাই
রোদে শুকিয়ে, তেল ও ঘিয়ে
ভেজে প্রস্তুত করা হয় প্যাকটজাত সুস্বাদু সেমাই। ক্রেতার
হাতে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এই পুরো প্রক্রিয়াতে জড়িত আছেন রংপুরের
নারী ও পুরুষ
শ্রমিকরা।
সেমাই ব্যবসায়ী বাতেন মিয়া, আবুল খায়ের তাহের মিয়া জানান, অভিজ্ঞ
কারিগরের অভাব, কাঁচামালের মূল্য বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ বিভ্রাটসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে
চাহিদা অনুযায়ী সেমাই
যোগান দিতে পারছেন
না তারা। আর এই সুযোগ
কাজে লাগিয়ে রংপুর
সেমাইয়ের বাজার দখল করছে রংপুরের
আশ পাশের জেলার
সেমাই ব্যবসাযীরা।নগরীর স্টেশন
বাবুপাড়া এলাকায় তিন যুগের বেশী
সময় ধরে তৈরী
হচ্ছে এই সেমাই।
এই ব্যবসার সাতে
যারা জড়িত তারা
বেশির ভাগই অবাঙ্গালী। তাছাড়া নগরীর জুম্মাপাড়া, হনুমানতলা কুকরুলে গড়ে উঠেছে বেশ কয়েকটি সেমাই
কারখানা।
এসব কারখানায় চিকন সেমাই তৈরী
করছেন কেউ কেউ।
লাচ্ছা সেমাইয়ের গুণগত
মান ও স্বাদ
নিয়ে এ অঞ্চলে
অনেকখানি এগিয়ে আছে রংপুরের লাচ্ছা
সেমাই।নগরীর শতাধিক হোটেল
বেকারীতে তৈরী হচ্ছে
লাচ্ছা সেমাই। নগরীর
আলাউদ্দিন বেকারীর আলাউদ্দিন লাচ্ছা ইতিমধ্যে দেশের
নানা প্রান্তে সুনাম
কুড়িয়েছে।
পাশাপাশি মৌবন
লাচ্ছা, মহুয়া, নুরানী
লাচ্ছার নাম উল্লেখযোগ্য
সেমাই ব্যবসায়ীরা অভিযোগ
করেছেন, নবাবগঞ্জ বাজারের
কিছু কিছু অসাধু
ব্যাবসায়ী সৈয়দপুরসহ অন্যান্য জেলা থেকে নিম্নমানের লাচ্ছা এনে কম দামে বাজারে
ছাড়ছেন। এসব সেমাইয়ের উন্নত প্যাকেট, চকচকে
মোড়ক দেখে বিভ্রান্ত হয়ে ক্রেতারা সেদিকে
ঝুকছেন। ফলে উন্নতমানের কাচাঁমাল ব্যবহার করে প্রতিযোগীতার বাজারে
টিকে থাকতে তাদের
বেগ পেতে হচ্ছে।
খাদ্য পণ্যের উপর সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নেক নজর আর সরকারী পৃষ্টপোষকতা পেলে স্থানীয় চাহিদা
মিটিয়ে জেলার বাহিরে
সুনাম অর্জন করতো
রংপুরের সেমাই।