তিস্তার পানি বিপদসীমার ৪৫ সেঃমিটার ওপর গঙ্গাচড়ায় বন্যায় ৩৩ গ্রাম প্লাবিত॥ পানিবন্দী ১৫ হাজার পরিবার

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা অফিস :

তিস্তার পানি বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পুনরায় বিপদসীমার ৪৫ সেঃমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যায় নদীর তীরবর্তী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের ৩৩ টি গ্রামে ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। চিলাখাল কুড়িবিশ্বা এলাকায় তিস্তা ডানতীর উপ-বাঁধ ভেঙ্গে ভাটির বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২.৪০ মিটার) ৪৫ সেন্টেমিটিার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বররা জানান, বন্যার ফলে উপজেলার নেহালী, আলমবিদিতর, কোলকোন্দ, গঙ্গাচড়া, লহ্মিটারী, গজঘন্টা ও মর্নেয়া ইউনিয়নের ৩৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্লাবিত গ্রামগুলো হল নোহালী ইউনিয়নের চর নোহালী, চর বাগডহরা, আলমবিদিতর ইউনিয়নের পাইকান হাজীপাড়া, কোলকোন্দ ইউনিয়নের চর চিলাখাল, খলাইর চর, চর বিনবিনা, চর মটুকপুর, জেলেপাড়া, ঢাকের চর, কুড়িবিশ্বা, উত্তর কোলকোন্দ মিয়াজিপাড়া, শিংগিমারী বাঁধেরপাড়, গঙ্গাচড়া ইউনয়নের চর ধামুর, মাঝাপাড়া, গান্নারপাড়, লহ্মিটারী ইউনিয়নের চর শংকরদহ, পশ্চিম ইচলী, পূর্ব ইচলী, কলাগাছি, মধ্য ইচলী, জয়রামওঝা, গজঘন্টা ইউনিয়নের চর ছালাপাক, চর রাজবল্লভ, গাওছিয়া বাজার, মর্নেয়া ইউনিয়নের নিলারপাড়, চর মর্নেয়া, আলাল চর, রমাকান্ত, রামদেব, কামদেব ও ভাঙ্গাগড়া গ্রাম।
পানিবন্দী পরিবারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য আতœীয়-স্বজনদের বাড়ীতে, কেউ কেউ উঁচু রাস্তা কিংবা বাঁধের ধারে আশ্রয় নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার প্লাবিত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বন্যার্তদের দুর্দশা। এসময় কোলকোন্দ ইউনিয়নের পানিবন্দী কুড়িবিশ্বা গ্রামের আজিজুল (৫৬), হাছানুর (৩৬), মিজানুর (৩৩), আক্কাছ আলী (৬৫), হাছনা বেগম (৭০), সাইফুল (৪২), মান্নান (৩৭), কালাম (৫৫), নয়ন মিয়া (৩০)সহ অনেকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আকস্মিকভাবে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ডানতীর উপ-বাঁধ ভেঙ্গে যায়। এতে বাঁধটির ভাটিতে চিলাখাল, মটুকপুর, কুড়িবিশ্বা, জেলেপাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম পানিবন্দী হয়ে পড়ে। ফলে এলাকার সব পুকুর তলিয়ে মাছ বের হয়ে যায়। এতে ৫টি গ্রামে প্রায় কোটি টাকার মাছের ক্ষতি সাধিত হয়। গৃহপালিত পশুপাখিসহ নিজেদের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
উপজেলার পানিবন্দী এলাকা পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম ও সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানগণ। এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, বন্যার্তদের সাহায্যার্থে ইতোমধ্যেই ২০ হাজার টাকা ও ৫ মেঃটন চাল প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আরো ৫০ হাজার টাকা ও ১৫ মেঃটন চাল জরুরী বরাদ্দের জন্য চাহিদা পাঠানো হয়েছে।


পুরোনো সংবাদ

রংপুর 6932947444099635257

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item