বদরগঞ্জে মেডিকেল অফিসারের মাথা ঠিক না থাকায় ৮ মাসের শিশুকে দিলেন এজিন ৫০০ ট্যাবলেট !
https://www.obolokon24.com/2015/07/post_22.html
হাজী মারুফ রংপুর বুরে্যা অফিস :
রংপুরের বদরগঞ্জের অতিরিক্ত দায়িত্বপাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিকুর রহমান আট মাস ও আড়াই দুই বছর বয়সী দুই শিশুকে খাওয়ানোর জন্য এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট এজিন ৫০০ মিলিগ্রাম লিখে দিয়েছেন। আট মাস বয়সী শিশুকে সেই ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর তার ঝিকুনি এসেছে।
চিকিৎসক আট মাস বয়সী শিশুকে এই ট্যাবলেট লিখে দিতে পারেন কিনা জানতে গতকাল বুধবার দুপুরে যাওয়া হয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামের কার্যালয়ে। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাই একজন সুস্থ চিকিৎসক কখনো শিশুকে এ ট্যাবলেট লিখে দিতে পারেন না। আমি ঘটনাটি জানার সাথে সাথেই ওই চিকিৎসকের সাথে কথা বলেছি। তিনি এ ঘটনায় ভুল শিকার করে পরবর্তীতে আর এ রকম ভুল করবেন না বলে আমাকে জানিয়েছেন।
গত ৮ জুন ওই চিকিৎসক হাসপাতাল ছেড়ে প্রাইভেটে রোগী দেখার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসক অভাবে শ্যামল (৩০) নামের এক ঔষধ ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের ফজলু রহমানের মেয়ে ফরিদা খাতুনকে (বয়স আট মাস) ডায়রিয়া রোগে এবং উপজেলার কাঁচাবাড়ি গ্রামের আদু মিয়ার ছেলে মোস্তাকিমকে (আড়াই বছর) পেট ব্যথার সমস্যায় গত ৩০ জুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল বুধবার তাদের ছাড়পত্র দেন অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিকুর রহমান। ছাড়পত্রের পেছনে অভিভাবকদের ওষুধ লিখে দেন তিনি। এতে আট মাস বয়সী শিশু ফরিদাকে এন্টিবায়োডিক ট্যাবলেট এজিন ৫০০ মিলিগ্রাম, র্যাবিসেক ২০ মিলিগ্রাম, ক্যাপসুল প্রোবাইরো ও সিরাপ ভাইগ্রীন প্লাস লিখে দেন। আর আড়াই বছর বয়সী শিশু মোস্তাকিমকে এন্টিবায়োডিক ট্যাবলেট এজিন ৫০০ মিলিগ্রাম, র্যাবিসেক ২০ মিলিগ্রাম ও মোটিলন ১০ মিলিগ্রাম লিখে দেন।
এ ব্যাপারে গতকাল বুধবার দুপুর দুইটায় হাসপাতালে গিয়ে অভিযুক্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সাদিকুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, ভাই আমি একজন আরএমও’র দায়িত্বে রয়েছি। আমার এ ভুলটা হওয়ার কথা ছিল না। তাহলে ভূলটা কেন হলো-জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মাথা ঠিক ছিল না। স্টাফদের মধ্যে দু’দিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। তাদের সেই দ্বন্দ্বের নিরসন করতে গিয়ে এই সমস্যা হয়েছে।