সুষ্ঠু তদারকির অভাবে অচল হয়ে পড়েছে রংপুর কেন্দ্রীয় ট্রাক টার্মিনাল

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা অফিস :  ॥
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের অযতœ অবহেলা আর সুষ্ঠু তদারকির অভাবে অচল হয়ে পড়েছে রংপুর কেন্দ্রীয় টার্মিনালটি। অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত এই টার্মিনালটি কবে নাগাদ সংস্কার করা হবে তা কেউ বলতে পাছে না। ফলে এটি একেবারে ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
 প্রতি বছর এখান থেকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন লাখ লাখ টাকার টোল আদায় করলেও ট্রাক চালক হেলপারদের পোহাতে হচ্ছে চড়ম দূর্ভোগ। দুর্ভোগের কারণে দেশের দূর-দূরান্ত থেকে মালমাল বোঝাই করে আসা  ট্রাক চালকেরা ট্রার্মিনালে ট্রাক না থামিয়ে রাস্তার পাশে ট্রাক রাখার কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
টার্মিনাল জুড়েই খানাখন্দ, আবার কোথাও সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। জায়গায় জায়গায় জমে আছে বৃষ্টির পানি।
যত্রতত্র নোংরা পানি আর কাদাজলে একেবারেই ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ট্রাক টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বড় বড় গর্ত আর কাদামাটির কারনে ট্রাকগুলো স্ট্যান্ডের ভেতরে না রেখে রংপুর- দিনাজপুর সড়কের এক পাশে সারি সারি দাঁড় করিয়ে রেখেছেন চালকরা। ফলে ওই স্থানটিতে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে।
রংপুর জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সাধারণ সম্পাদক সাহিদুল ইসলাম সাজু বলেন, দশ বছর আগে রংপুর পৌরসভার তৎকালিন মেয়র আব্দুর রউফ মানিক নগরীর পশ্চিম বাবুখাঁ এলাকায় ঢাকা-রংপুর-দিনাপুর মহাসড়কের পাশে ৩ একর যায়গা ট্রাক টার্মিনালের জন্য বরাদ্দ দেন। এর পর থেকেই এই যায়গাটি ট্রাক টার্মিনাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে তারা। প্রতিদিন এই স্ট্যান্ডটি থেকে কমপক্ষে শতাধিক ট্রাক রাখা হয়। রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতি বছর এ যায়গাটি ইজারা প্রদান করে থাকে। এ বছরে সিটি কর্পোরেশন ট্রাক স্ট্যান্ডটি ২৩ লাখ টাকায় ইজারা প্রদান করা হয়েছে।  ট্রাক স্ট্যান্ডটির এখন যে অবস্থা ২০টি গাড়িও রাখা সম্ভব হচ্ছেনা। অথচ রংপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিদিন এই স্ট্যান্ডটি থেকে ট্রাক প্রতি ৫০ টাকা করে টোল আদায় করছে। তিনি আরো জানান, ট্রাক টার্মিনালটিতে শ্রমিকদের ব্যবহারের জন্য রয়েছে দুটি টয়লেট। সেটিও সিটি কর্পোরেশনের মাধ্যমে ইজারা প্রদান করা হয়েছে।
শ্রমিকরা টয়লেট ব্যবহার করলেই ৫টাকা করে প্রদান করতে হয়। কিন্তু সেটিও পরিস্কার রাখার জন্য আজ পর্যন্ত কোন উদ্যোগ গ্রহন করেনি সিটি কর্পোরেশন। ফলশ্রুতিতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যেই টয়লেট ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন শ্রমিকরা।

শ্রমিক নেতা সাজু বলেন, এখানে পানি নিষ্কাশনের জন্য কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। একটু বৃষ্টি হলেই ব্যবহার অনুপোযোগি হয়ে পড়ে  ট্রাক টার্মিনালটি। তখন নিরুপায় হয়ে চালকদের টার্মিনালের বাইরে মহাসড়কের পাশে ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। ট্রাক টার্মিনালটি সংস্কারের জন্য আমরা মেয়র বরাবর একাধিকবার চিঠি প্রদান করেছি কিন্তু আজ পর্যন্ত তা সংস্কার করা হয় নাই। ট্রাক টার্মিনালটিতে মাটি ভরাট, ড্রেন নির্মাণ, সীমানা প্রাচির নির্মাণ খুবই জরুরী বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র বলেন,  ট্রাক স্ট্যান্ডটি থেকে কোন প্রকার টোল আদায় করা হচ্ছেনা। রংপুরে লোকাল যে সকল গাড়ি এখানে স্ট্যান্ড করা হয় সেগুলো থেকেও কোন প্রকার টাকা নেয়া হয়না।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 5436786123443994832

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item