বদরগঞ্জ বাজারে জাতীয় ফলের কদর নেই

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা অফিস : 

রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলায় জাতীয় ফল কাঁঠালের এবার কদর নেই। স্থানীয় হাট-বাজারে পানির দামেও তা বিক্রি হচ্ছে না। এ কারণে কাঁঠাল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা কনক চন্দ রায় জানান, বদরগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে কাঁঠালের চাষ কেউ না করলেও অসংখ্য কাঁঠাল গাছ রয়েছে। কৃষকরা বাড়ির উঠানসহ চারপাশে এবং উঁচু জমিতে কাঁটাল গাছ লাগিয়েছেন। কাঁঠাল অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। কাঁঠালের বিচিতেও পুষ্টি রয়েছে। বর্তমানে বাজারে কাঁঠাল কাঠের দাম অনেক বেশি। এর পাতা ছাগলের অত্যন্ত প্রিয় খাবার।

তিনি আরও জানান, কাঁটাল গাছ হয় বেলে দোঁয়াশ মাটিতে। বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর, বিষ্ণুপুর, রামনাথপুর, কালুপাড়া, লোহানীপাড়া, গোপালপুর ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় সবচেয়ে বেশী কাঁঠাল গাছ রয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় গত বছর তিনেক থেকে গাছে প্রচুর কাঁঠাল ধরছে। তবে বিগত বছরের তুলনায় এবারে গাছে কাঁঠাল ধরেছে বেশি।
কনক চন্দ্র রায় বলেন, আগে গরীব মানুষ ভাত অভাবে কাঁঠাল খেতো। এখন ভাতের কোন সমস্যা না থাকায় তারা কাঁঠাল খেতে চান না। তাই চাহিদা না থাকায় এবং কাঁঠালের বাম্পার ফলন হওয়ায় বাজারে এর কদর একবারেই কমে গেছে। বদরগঞ্জ বাজারে গতকাল শনিবার বিকেলে ১৪ টি কাঁঠাল বিক্রি করতে নিয়ে আসেন কালুপাড়া গ্রামের কৃষক ইব্রাহিম খলিল (৪৮)। কিন্তু দেড়ঘন্টা বাজারে বসে থাকলেও কেউ দাম করেননি। এতে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে বলেন, ‘কৃষক যেইটায় আবাদ করে সেইটারে দাম নাই। হামার বাঁচন কোনটে?’
ওইদিন বাজারে অনেক কৃষক ও ব্যবসায়ীকে কাঁঠাল নিয়ে বসে থাকতে দেখা গেছে। কিন্তু ক্রেতা নেই বললে চলে।
কাঁঠাল ব্যবসায়ী শামসুল আলম বলেন, এবারে বাজারে কাঁঠালের প্রচুর আমদানি। কিন্তু দাম নেই। ছোট কাঁঠাল প্রতিটি পাঁচটাকা, মাঝারি ধরনের কাঁঠাল দশটাকা এবং বড় কাঁঠাল ২০ টাকা দামেও কেউ কিনছেন না। মনে হচ্ছে মানুষ কাঁঠাল খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন।
প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বালুয়াভাটা এলাকার স্কুল শিক্ষক আজাদুল হক বলেন, বাজারে জাতীয় ফলের কদর না থাকার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 755239774860136797

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item