বিদেশী প্যাশন ফল চাষ হচ্ছে এখন বদরগঞ্জে

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্য্য অফিস : 
একটি সুস্বাদু বিদেশী ফল এখন রংপুরের বদরগঞ্জে চাষ হচ্ছে। অনেকেই অজ্ঞতার কারণে ইহাকে ট্যাং নামে অভিহিত করেন। খর তাপে প্যাশন ফল তৃষ্ণা নিবারণ এবং মনে প্রশান্তি আনে। এর বৈজ্ঞানিক নাম প্যাসিফোরা ইডিউলাস। 

কৃষি প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান বদরগঞ্জ পৌরসভার মুন্সিপাড়ায় ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে ২ টি প্যাশন ফলের চারা লাগান। গত বছর অল্প কিছু ফল ধরেছিল। তবে এবার ২টি গাছে প্রায় চারশত ফল ধরেছে। জানা গেছে, প্যাশন ফল একটি বহুবর্ষবীজি লতা জাতীয় উদ্ভিদ। আদি নিবাস ব্রাজিলের আমাজান অঞ্চলের রেইন ফরেস্টের নিকটবর্তী স্থান প্যারাগুয়ে ও উত্তর আর্জেন্টিনায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ফলটি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অষ্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়াসহ অনেক দেশে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হয়। এ দেশের আবহাওয়ায় এ ফল চাষের জন্য খুবই উপযোগি। প্যাশন ফল ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ। এ ফলের বীজকে আবৃত করে থাকা সুগন্ধিযুক্ত হলুদ ‘পাল্প’ কে পানিতে দ্রবীভূত করে খুবই উপাদেয় শরবত প্রস্তুত করা যায়। এটাকে অন্যান্য ফলের রসের সঙ্গেও মিশিয়ে খাওয়া যায়। কৃষি প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান জানান, প্যাশন ফলের চারা রোপনের ১৫-১৮ মাসের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। মার্চ মাসে ফুল আসার প্রধান মৌসুম এবং জুন-জুলাই মাসে ফল পাওয়া যায়। জুলাই-আগষ্ট মাসেও কিছু ফুল আসে এবং ডিসেম্বর মাসে ফল দেয়। পূর্ণাঙ্গ ফল গোলাকার বা ডিম্বাকার হয়। কাঁচা অবস্থায় এটি সবুজ। তবে পরিণত অব¯া’য় হলুদ বা গাঢ় বেগুণী রং ধারণ করে। প্যাশন ফল সাধারনত তিন ধরনের হয়। বেগুনী, হলুদ ও হাইব্রিড পার্পল প্যাশন ফল। প্যাশন ফল-১ এর আকার ৬ দশমিক ৩ থেকে ৬ দশমিক ৮ সেন্টিমিটার। ফলের ওজন ৬০-৭০ গ্রাম এবং ৩০ গ্রাম জুস আহরণ করা যায়। জুসের রং হলুদ। ফলটি অত্যন্ত পুষ্টিগুণ স¤পন্ন। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ, বিটাক্যারোটিন, ভিটামি-সি ও আয়রন রয়েছে। এ ফলের জুস পটাসিয়ামের একটি বড় উৎস। প্রতি ১০০ গ্রাম ফলে ক্যালসিয়াম রয়েছে ১২ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ২৯ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ২৮ মিলিগ্রাম ও জিংক ০.১ মিলিগ্রাম। এ ফলটি উচ্চ রক্ত চাপের ঝুঁকি কমায়। হাঁপানি ও ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও এই ফল বিশেষ উপকারী। ঢাকার কিছু দোকানে এ ফল পাওয়া যায়। প্রতিকেজি ফল বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দরে।  আব্দুল হান্নান বলেন, বাড়ির পাশে মাচা করে অথবা যে কোন পুরনো বড় বৃক্ষের ডালে উঠিয়ে দিয়ে সহজে প্যাশন ফলের চারা রোপণ করা যায়। এ ফলের রোগের আক্রমণ কম হয় এবং বিশেষ কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। আব্দুল হান্নান প্যাশন ফলের বৃদ্ধির জন্য ইতোমধ্যে ৫০০টি চারা উৎপাদন করেছেন। তার আরেকটি শংকরপুর ফয়েজারপাড়া গ্রামে ‘দোলনচাঁপা’ নামের নার্সারী রয়েছে। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 46888943443650126

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item