ডোমারের কেতকীবাড়ীতে অপহরনের ৫ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী

আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টার, আনিছুর রহমান মানিক, ডোমার( নীলফামারী) প্রতিনিধি>>ঃ
 অপহরনের ৫ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার হয়নি নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মির্জাগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী রুবী
বেগম। মেয়েটি স্কুল এলাকার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানা তেলিপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী মঙ্গলু মাহমুদের মেয়ে। এ ঘটনায় ডোমার থানায় অপহরনকারী আসামীর নাম সহ লিখিত এজাহার দেয়া হলেও থানার ওসি মামলাটি রবিবার পর্যন্ত রেকড না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অন্য দিকে অপহারন কারীরা মেয়েটির মুক্তিপণ হিসাবে দুই লাখ টাকা দাবি করে আসছে। এ টাকা না পেলে মেয়েটিকে হত্যা করা হবে বলে হুমকী প্রদান করছে।
অভিযোগ মতে, স্কুল ছাত্রীটির পিতার সাথে জমি সংক্রান্ত বিবাদের সুত্র ধরে প্রতিবেশী কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওর্য়াডের ইউপি সদস্য মোশারফ হোসেনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধের জের ধরে উক্ত ইউপি সদস্য রুবী বেগম কে অপহরনের হুমকি দিয়ে আসছিল। এ অবস্থায় গত ২২ জুলাই বুধবার রাতে অপহরন হয় রুবীকে। ঘটনার পর দিন থেকে মুক্তিপন হিসাবে অপহরনকারীরা রুবীর বাবার কাছে ২ লাখ টাকা দাবী করে আসছে। চাঁদা না পেলে তারা রুবীকে হত্যার হুমকি দেয়। 
এ নিয়ে অসহায় পিতা তার মেয়ের জীবন বাঁচাতে এবং উদ্ধারে স্থানীয় প্রভাবশালীদের শরনাপন্ন হলেও কোন সুরাহা হয়নি। অবশেষে রুবীর বাবা শুক্রবার ২৪ জুলাই রাতে ডোমার থানায় অপহরনকারীদের নামে একটি এজাহার দাখিল করেন। কিন্তু ডোমার থানার ওসি মামলাটি আমলে না নিয়ে মেয়েটি উদ্ধার সহ অপহরনকারীদের গ্রেফতারে কোন তৎপরতা দৃশ্যমান না হওয়ায় জনমনে চরম ােভের সৃষ্টি করেছে। প্রশ্ন উঠেছে অপহৃতার উদ্ধারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। 
কেতকীবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন কেউ বলে ঘটনাটি প্রেম ঘটিত। এ ব্যাপারে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন অপহরনের লিখিত এজাহারের অভিযোগ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন বিষয়টি দেখা হবে। 

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 7282301374963291135

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item