চিলাহাটি সরকারী ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ে কয়েক লক্ষ টাকার সরকারী মালামাল পাচার অতঃপর পালসার মোটর সাইকেল বিক্রি করে রফাদফা

এ.আই পলাশ,ঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি সরকারী ডিগ্রী মহাবিদ্যলয়ের পুরোনো মালামাল পাচার করে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সময় জনতার হাতে ধরা পড়েন অধ্যক্ষের লোকজন। 
এলকাবাসী সূত্রে জানা যায় যে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার চিলাহাটি সরকারী কলেজের অধ্য শ্রী জগদীস চন্দ্র রায় গত ১৬ জুলাই রাত ১০ টার সময় মহেন্দ্র ট্রলির মাধ্যমে কলেজের পুরনো ২টি বিশাল গ্রীলের গেট ও কেচি গেট, এবং ২টি ছোট গেট সহ আরো কিছু কলেজের পুরনো আসবাব পত্র মহেন্দ্র ট্রলির মাধ্যমে এলাকাবাসীর চোখে ফাকি দিয়ে কলেজ থেকে নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতার হাতে ধরা পড়ে।
স্থানীয় জনতা মাহিন্দ্র ট্রলি সহ মালামাল আটক করে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ ও এলকার সাধারণ মানুষ মালামাল আটক করে কলেজ ক্যম্পাসে রেখে চলে যায়। জানাগেছে যখন পুলিশ মালামাল গুলো কলেজ ক্যাম্পাসে রেখে যায় তখন কলেজের পিয়ন ও পাহারাদার উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ চলে যাওয়ার পর ভোর রাতে পিয়ন ও পাহাড়াদার এই সব মালামাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সহযোগীতা করেছিল বলে জানা গেছে। মালামাল সহ ট্রলি আটক করা হলে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপার সৃষ্টি হয়। মধ্য রাতে চলে রফাদফার পালা, চলে টাকার খেলা। অধ্য সাহেব নিজের সম্মান ও চাকুরী বাঁচানোর জন্য অবশেষে স্থানীয় ছাত্রনেতা, সুবিধাভোগী ষ¦ার্থন্বেষী ব্যাক্তি ও পুলিশকে এই অপরাধকে রফাদফা করতে নগদ ১৬০০০ টাকা এবং তার ব্যাহৃত পাচসার মোটর সাইকেলটি ১,০০,০০০ টাকা কিক্রি করে বিষয়টি তরিঘরিভাবে রফাদফা করে এবং অধ্য সাহেবকে রেহাই দেওয়া হয়। এই ঘটনা নতুন নয় ইতি পূর্বে অধ্য সাহেব বিশাল আকারের ব্রিটিশ আমলের দুইটি টিন ঘরের শাল কাঠের খুটি, টিন, ২টি পানির ট্যাংক, পানির পাম্প, চেয়ার, ব্যাঞ্চ, ইট, খোয়া, গাছের লক ও ডাল, লোহার গেট সহ কয়েক ল টাকার মালামাল সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এমনকি পুরাতন সব মালামালের সাথে নতুন মালামালও নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অধ্য সাহেব গত তিন বছর ধরে সরকারী কলেজটিকে পৈত্রিক সম্পত্তি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। আরো অভিযোগ রয়েছে, কলেজের শিক, কর্মচারীগণ প্রায় কলেজে আসে না। অধ্যা সাহেবকে মাসহারা টাকা দিয়ে ছুটি নিয়ে কেউবা বাড়িতে বসে থাকে, কেউ অন্যত্র চাকুরী করে, আবার কেউ ব্যবসা করে। এই ভাবে কলেজটি চলিতেছে কিন্তু কর্তৃপ বিষয়টি জানেন না। জনমনে প্রশ্ন, নাকি দেখেও না দেখার ভান করছে কর্তৃপক্ষ ? জনমনে আরো প্রশ্ন এই অধ্য নিজের মতায় এই সব অপরাধ করে, নাকি কারো উপর ভর করে এই অপরাধ করে দাপটে চালাচ্ছে কলেজটি ? এই অধ্যরে বিরুদ্ধে ছাত্রদের নিকট থেকে টাকা নিয়ে পরীা না দেওয়ার বহু ছাত্রের জীবন নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিভাবক শ্রেণীর হাজারো অভিযোগ রয়েছে। চিলাহাটি বাজারে পান বিক্রেতা থেকে শুরু করে চা, জুতা, মিষ্টি, মাছ, টিন, মটরসাইকেল পার্টস, খাওয়ার হোটের, কাপড়, সবজি সহ বিভিন্ন ব্যবসায়ি তার কাছে হাজার হাজার টাকা পাওনা রয়েছে এই ব্যবসায়ীগণ মাঝে মধ্যে কলেজ গিয়ে তার সাথে টাকা পয়সা নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হওয়ার বহু ঘটনা রয়েছে। তিনি টাকা পরিশোধ না করার ফলে চুপিসারে কলেজ যাওয়া আসা করে। অভিযোগে আরো জানা যায় যে, ল্যাবরেটরীতে আসা সকল প্রকার আধুনিক যন্ত্রপাতি তিনি বিভিন্ন বে-সরকারী কলেজের কাছে বিক্রি করেন। কলেজে উপবৃত্তির টাকা প্রদানে অধ্য টাকার বিনিময়ে ৩৬ জন বিবাহিতা ছাত্রীকে উপবৃত্তির টাকা প্রদান করে। যাহা তদন্ত সাপেে সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে কলেজের একটি নির্ভরশীল সুত্র জানায়। এই অধ্য সাহেবের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বহু জায়গায় অভিযোগ করেও কোন ফল হয়নি বলে অভিভাবকগন জানান, তারা আরো জানান, যে  কলেজের ব্যাপারে কোন অভিযোগ করলে অধ্যক্ষ সাহেব বলেন আমি কিছু জানি না, আপনাদের যা বলার উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে বলেন। তাই অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী ও স্থানীয় সুধি মহল কলেজটিকে অপরাধের সর্বরাজ্য থেকে বাঁচানোর জন্য উর্ধতন কর্তৃপরে সুদৃষ্টি কমনা করছেন। এই অভিযোগ গুলোর ব্যাপারে অধ্যক্ষের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে  তিনি সমুদয় অভিযোগগুলো নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে পরে বসবেন বলে ফোন কেটে দেন।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2518807916660076232

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item