ডিমলায় মাদকের ছোঁবলে যুব সমাজ
https://www.obolokon24.com/2015/07/dimla_13.html
জাহাংঙ্গীর আলম রেজা
ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
>>>
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা সদর থেকে শুরু করে সকল ইউনিয়ন ও গ্রামে ঈদ-পূজায় মাদকাসক্ত যুবকরা আনন্দকে আরো বেশি আনন্দময় করতে দেশি বিদেশী হুইচকি,চোলাই মদসহ,গাঁজা,হিরোইন,এমনি কি ইয়াবা নামের মাদক ট্যাবলেট কিনে সেবন করছে।ঈদে দাম বাড়তে পারে মনে করে মাদক সেবিরা বেশি করে কিনে ষ্টক করে রাখছে।চাহিদা বেড়ে অনেক মাদকের মধ্যে ইয়াবা বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলার সদর সহ কিছু কিছু গ্রামে ইয়াবা মাদক বাবার দখলে,ও সেই ছোঁবলে ধ্বংস হচ্ছে ডিমলার যুব সমাজ,
মাদকাসক্ত পরিবারে অশান্তি বাড়ছে বলে একাধিক ভুক্তভোগি পরিবার জানায়।অন্যান্য মাদকের চেয়ে বর্তমান ইয়াবা মাদক বহনে সহজ হওয়ায় ধর পাকড়ের ঝুঁকি কম ফলে এ পেশায় ঝুকে পড়ছে গোপনে অনেক মাদক ব্যবসায়ীই।অল্প দিনেই অবৈধ পথে আসা নতুন মাদক ইয়াবা নামক ট্যাবলেট যুব সমাজের মন কেড়েছে।তাই নেশায় আসক্ত যুবকরা জন্মদাতা পিতাকে বাবা বলতে ইতঃস্তত বোধ করলেও ইয়াবা ট্যাবলেটকে আদর করে বাবা বলেই ডাকে বলে জানা যায়।কথিত ইয়াবা নামের মরণ নেশা মাদক বাবার ছোবলে ডিমলা যুব সমাজ মনের অজান্তেই নিজেকে ধ্বংস করে দিচ্ছে । সেই সাথে নেশার টাকা যোগাতে সর্বশান্ত করছে পরিবারকে।চুরি হচ্ছে পিতার পকেটের টাকা,বাড়ছে পারিবারিক ভাবে দ্বন্ধ ও অশান্তি।ওই মাদকাসক্তরা দিনে একটি করে আন্যান্য নেশার মধ্যে এখন বাবা নেশা ব্যবহার শুরু করে অল্পদিনের ব্যবধানে দিনে ৫-৬টি করে কিনে খেতে হচ্ছে বলে জানা গেছে।প্রতিটির ইয়াবা ট্যাবলেটের দাম কমপক্ষে দুইশ টাকা বলে জানা গেছে।ওই টাকা যোগাতে অনেক সময় মাদকাসক্তের হাতে পরিবারের অনেকেই লাঞ্চিত কখনোও খুন হচ্ছে। এছাড়াও মাদকাসক্তরা নেশার টাকা যোগাতে এলাকার সাধারন মানুষদের হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে বলে যানা গেছে।
নিজ ঘরের কখনোও পরিবারের শখের জিনিস পত্র বিক্রি করে নেশার টাকা যোগার করছে বলে ভুক্তভোগি পরিবারের লোকজন জানিয়েছে। মাদকাসক্ত পুত্রের অত্যাচারে অশান্তিতে থাকা পরিবারের লোকজন নিরুপায় হয়ে আদরের সন্তানকে পুলিশ দিয়ে আটক করে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে রেখে দিয়েছে এও অভিযোগ পাওয়া গেছে।মাদকে জরিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদকাসক্তরা জানান,শুরুতে আনন্দের সাথে বন্দু বান্দবের পাল্লায় পড়ে নেশা শুরু করে।ওই নেশা ব্যবহারে মন ও শরির দুটোই ভাল থাকতো জানায়।রাতে ঘুম বলে কি জিনিস তা বুঝতে পারতোনা।