গাইবান্ধায় লাভের গুড় পিঁপড়ায় খায় !
https://www.obolokon24.com/2015/07/crime_32.html
হাজী মারুফ রংপুর বুরে্যা অফিস :
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাডি ইউনিয়নে এক নারীসহ তিনজন দুস্থ মানুষের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অদৃশ্য কারনে তাদের বদলে অন্য তিনজনকে এই ভাতা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়, এরেন্ডাবাডি ইউনিয়নের আলগারচর গ্রামের বাসিন্দা আফসার আলী (৭০)।
তিনি ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বয়স্ক ভাতা পেতে শুরু করেন। কিন্ত ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তার ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়াও ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে বয়স্ক ভাতা পেতে শুরু করেন একই গ্রামের জামেলা বেওয়া (৬৫)। ২০১২ সাল থেকে তাঁর ভাতাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই ইউনিয়নের হরিচি গ্রামের লাইলি বেওয়া (৪৫) ২০০৮ সালের জুলাই থেকে বিধবা ভাতা পাচ্ছিলেন। অথচ চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
নিয়মানুযায়ী বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ৬৫ বছর ও নারীর ৬২ বছরের ওপর বয়স হতে হবে। কোনো ব্যক্তির নামে বয়স্ক ভাতা চালুর পর প্রতিজন মাসিক ৩০০ টাকা করে পাওয়ার কথা।
আজীবন তা পাবেন। বিধবা ভাতার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তবে ভাতা প্রাপ্ত নারীর দ্বিতীয় বিয়ে হলে ভাতা বাতিল হবে। ভাতাবঞ্চিত আফসার আলী বলেন, ‘বাবা হামরা ট্যাকা পায়া ডালভাত খাব্যার পাচিনো, তিন বচর থাকি ট্যাকা পাইনে। অফিস্যাররা হামাক ট্যাকা দেওয়া বনদো করচে। কিসোক বনদো করচে হামরা জানি না।’
জামেলা বেওয়া বললেন, ‘হামাক আর সোরকার ট্যাকা দ্যায় না। ’ লাইলি বেওয়া বলেন, ‘ছয় মাস (জানুয়ারি মাস) আগোত ভাতার ট্যাকা তুলব্যার যায়া দেকি, হামার ভাতা বনদো। অফিস্যারের কাচে জানব্যার চানো, তাঈ কয় হামরা জানিনে। তকন থাকি ভাতার জন্নে অফিসারের কাচে ঘুরব্যার নাগচি।’
ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়াডের সদস্য নাছির উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী এসব মানুষের আজীবন ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমার গ্রামের আফসার আলী ও জমেলা বেওয়ার ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে এ দুজনের পরিবর্তে অপর দুজনের নামে ভাতা বরাদ্দ করেছেন।’ একই ইউপির ৭ নম্বর ওয়াডের সদস্য বদি উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘ওই কর্মকর্তা আমার গ্রামের লাইলি বেওয়ার ভাতা বন্ধ করে ঘুষ নিয়ে অন্যজনকে ভাতা দিচ্ছেন। এসব বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম আকরাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভুলবশত ওই তিনজনের ভাতা বন্ধ হয়েছে। ভুল সংশোধন করে শিগগিরই আবার তাদের ভাতা চালু করা হবে।#
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাডি ইউনিয়নে এক নারীসহ তিনজন দুস্থ মানুষের বয়স্ক ও বিধবা ভাতা বন্ধের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা অদৃশ্য কারনে তাদের বদলে অন্য তিনজনকে এই ভাতা দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয় সূত্র জানায়, এরেন্ডাবাডি ইউনিয়নের আলগারচর গ্রামের বাসিন্দা আফসার আলী (৭০)।
তিনি ২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বয়স্ক ভাতা পেতে শুরু করেন। কিন্ত ২০১২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তার ভাতা বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়াও ২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে বয়স্ক ভাতা পেতে শুরু করেন একই গ্রামের জামেলা বেওয়া (৬৫)। ২০১২ সাল থেকে তাঁর ভাতাও বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই ইউনিয়নের হরিচি গ্রামের লাইলি বেওয়া (৪৫) ২০০৮ সালের জুলাই থেকে বিধবা ভাতা পাচ্ছিলেন। অথচ চলতি বছরের জানুয়ারিতে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়।
নিয়মানুযায়ী বয়স্ক ভাতা পাওয়ার ক্ষেত্রে পুরুষের ৬৫ বছর ও নারীর ৬২ বছরের ওপর বয়স হতে হবে। কোনো ব্যক্তির নামে বয়স্ক ভাতা চালুর পর প্রতিজন মাসিক ৩০০ টাকা করে পাওয়ার কথা।
আজীবন তা পাবেন। বিধবা ভাতার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। তবে ভাতা প্রাপ্ত নারীর দ্বিতীয় বিয়ে হলে ভাতা বাতিল হবে। ভাতাবঞ্চিত আফসার আলী বলেন, ‘বাবা হামরা ট্যাকা পায়া ডালভাত খাব্যার পাচিনো, তিন বচর থাকি ট্যাকা পাইনে। অফিস্যাররা হামাক ট্যাকা দেওয়া বনদো করচে। কিসোক বনদো করচে হামরা জানি না।’
জামেলা বেওয়া বললেন, ‘হামাক আর সোরকার ট্যাকা দ্যায় না। ’ লাইলি বেওয়া বলেন, ‘ছয় মাস (জানুয়ারি মাস) আগোত ভাতার ট্যাকা তুলব্যার যায়া দেকি, হামার ভাতা বনদো। অফিস্যারের কাচে জানব্যার চানো, তাঈ কয় হামরা জানিনে। তকন থাকি ভাতার জন্নে অফিসারের কাচে ঘুরব্যার নাগচি।’
ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়াডের সদস্য নাছির উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী এসব মানুষের আজীবন ভাতা পাওয়ার কথা। কিন্তু উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আমার গ্রামের আফসার আলী ও জমেলা বেওয়ার ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি মোটা অঙ্কের ঘুষ নিয়ে এ দুজনের পরিবর্তে অপর দুজনের নামে ভাতা বরাদ্দ করেছেন।’ একই ইউপির ৭ নম্বর ওয়াডের সদস্য বদি উদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘ওই কর্মকর্তা আমার গ্রামের লাইলি বেওয়ার ভাতা বন্ধ করে ঘুষ নিয়ে অন্যজনকে ভাতা দিচ্ছেন। এসব বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এস এম আকরাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভুলবশত ওই তিনজনের ভাতা বন্ধ হয়েছে। ভুল সংশোধন করে শিগগিরই আবার তাদের ভাতা চালু করা হবে।#