বলাৎকারে ব্যর্থ হয়ে শিশুর চোখ নষ্ট করার অভিযোগ
https://www.obolokon24.com/2015/07/child_26.html
হাজী মারুফ রংপুর বুরে্যা অফিস :
পীরগঞ্জে এক শিশুকে বলাৎকার করতে না পারায় তার চোখ নষ্ট করার অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার লাটমিঠিপুর গ্রামের আলিম পড়–য়া ছাত্র হবিবর রহমান এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানা গেছে। শিশুটির চিকিৎসার জন্য গ্রাম্য এক শালীসে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হলেও তা অদ্যাবধিও তাকে দেয়া হয়নি। উল্টো শিশুটির পরিবারের সদস্যদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের লাটমিঠিপুর গ্রামের দাদন ব্যবসায়ী এন্তাজ আলীর আলিম পড়–য়া পুত্র হবিবর রহমান গত রোববার বিকেলে তার প্রতিবেশী দিনমজুর জাহিদুল ইসলামের পুত্র নাহিদ (১৩) কে বেড়ানোর কথা বলে পার্শ্ববর্তী ডোমজানা নদীর ধারে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কচুর ক্ষেতে নাহিদকে জোরপূর্বক বলাৎকারের চেষ্টা করে। এতে বাঁধা দিলে দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে হবিবর রহমান শিশু নাহিদের ডান চোঁখে চাবি দিয়ে আঘাত করে। এতে সে মারাত্মক আহত হয়। এ সময় নাহিদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে হবিবর পালিয়ে যায়। পরে নাহিদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে রংপুর আধুনিক চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ৫ দিন চিকিৎসা করা হলেও আঘাতের কারনে তার ডান চোখের দৃষ্টি শক্তি ফিরে না আসায় নাহিদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় জাতীয় চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছে রংপুর আধুনিক চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: মোখলেছুর রহমান। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার রাতে ওই গ্রামেই সাজুর চায়ের দোকানের সামনে এক সালিশি বৈঠক বসে। বৈঠকে হবিবর তার দোষ স্বীকার করলে হবিবর ও তার বাবা এন্তাজ আলীকে মাতবররা চোখের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা শিশুটির পরিবারকে দিতে বলা হয় বলে।
শিশু নাহিদ বলেন, হবিবর আমার খারাপ কাজ করতে না পেরে ডান চোখে চাবি দিয়ে আঘাত করেছে। এখনও আমি ডান চোখে কিছুই দেখতে পারছি না। নাহিদের পিতা জাহিদুল ইসলাম বলেন আমার নাহিদকে বলাৎকারের চেষ্টায় ব্যার্থ হয়ে তার চোখ নষ্ট করে দেয়া হয়েছে। এরপরও আমাকে মামলা না করার জন্য নানাভাবে হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। টাকার অভাবে ছেলেকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে যেতে পারছিনা।
সালিশে উপস্থিত থাকা মাতবরদের মধ্যে ইউনুস আলী ও গোলাপ মিয়া বলেন, নাহিদের চোখে আঘাত করে নষ্ট করার কথা হবিবর স্বীকার করায় আমরা তর চোখের চিকিৎসার জন্য ২০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলেছি। কিন্তু তারা দিচ্ছে না। ওসি ইসরাইল হোসেন বলেন ঘটনাটি শুনেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।