আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে শিশু রাজিয়া ঈদেও পরিবারের চোখে কান্নার রোল
https://www.obolokon24.com/2015/07/child.html
মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
আদম ব্যবসায়ীর খপ্পরে পড়ে প্রায় ২ বছর হয় নিখোঁজ রয়েছে রাজিয়া সুলতানা (১৪) নামের এক শিশু। শিশুটির বাড়ি কিশোরগঞ্জ উপজেলার মধুপুর আশ্রয় কেন্দ্রে। বাবার নাম রাজিবুল ইসলাম।
জানা যায়, কিশোরগঞ্জ পানিয়ালপুকুর কাচারীপাড়ার আজিজার প্রামানিকের ছেলে মিজানুর রহমান প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বেতনে চাকরী দেয়ার কথা বলে শিশু রাজিয়াকে নিয়ে যায় সৈয়দপুরে। প্রায় মাস দুয়েক সেখানে থাকায় বাবা মায়ের সাথে দেখা হয়েছিল রাজিয়ার। পরে মিজানুর শিশুটিকে ঢাকার কোন এক আত্মীয়ের বাসায় রাখার কথা বলেন। এভাবে প্রায় একটি বছর রাজিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে না পারায় শিশুটির বাবা রাজিবুল ইসলাম মিজানুরকে মেয়ে ফিরিয়ে দেয়ার কথা বললে নানা অজুহাত দেখায় সে। প্রায় দেড়টা বছর মেয়ের সাথে যোগাযোগ করতে না পেরে শিশুটির পিতা কিশোরগঞ্জ থানা ও ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে অভিযোগ করলে প্রতিকার মেলেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া আশ্রয় প্রক্েল্প বসবাস করায় কেউই রাজিয়াকে বের করে দেয়ার কোন চেষ্টাই করছেন না বলে জানান তিনি।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলে যখন এলাকায় খুশির বন্যা বইছে তখন রাজিয়ার বাবা মায়ের আহাজারির দৃশ্য চোখে পড়ে। সেখানে কান্নাজড়িত কন্ঠে শিশুটির বাবা রাজিবুল বলেন, মিজানুর যে একজন শিশু পাচারকারী তা তিনি জানতেন না। তার মেয়ের আগে ও পরে একই ঘটনা নিয়ে একাধিক জনের কাছে গণধোলাই খেয়েছে মিজানুর। মানব পাচার করে অর্থের পাহাড় করায় পুলিশ প্রশাসনসহ চেয়ারম্যানরাও তার বিরুদ্ধে পদপে কেউ নেননা। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তপে দাবি করেন তিনি। তবে মিজানুর বলেন, শিশু রাজিয়াকে সে তার ফুপাতো বোনের কাছে ঢাকায় রেখেছিলেন। কিন্তু সে হারিয়ে গেছে।
ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন আলম ও স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বলতে গেলে তারা সাংবাদিকদের সাথে এ ব্যাপারে কোন কথা বলবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।