পেটের দায়ে রাস্তায় কাজ করেও শান্তি নেই ১৯৮ জন দুস্থ মহিলার অবৈধ পথে লাভবান ডোমার কেয়ারের সুপারভাইজার

এ,আই,পলাশ ঃ আমাদের দেশের খেটে খাওয়া গরীব দুখী পরিবার গুলোর কাজের চিত্র ধারণ করতে হলে যেতে হবে গ্রাম অঞ্চলে। সেখানেই দেখা যাবে একজন পুরুষ দিনমুজুরের চেয়ে মহিলা দিনমজুরের সংখ্যা বেশি। অথচ একজন পুরুষ দিমুজুরের চেয়ে একজন মহিলা দিনমুজুর কাজ করে বেশি। দিন শেষে মুজুরী হিসেবে পুরুষরা পায় ২৫০/ ৩০০ টাকা আর এই কাজে মহিলারা পায় ১০০/১২০ টাকা। একই কাজের মুজুরীর বৈষম্যটি চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। আজ গ্রামাঞ্চলের শত শত মহিলা পেটের দায়ে পরিবারের ছেলে মেয়েদের মুখে অন্ন যোগান দেওয়ার জন্য স্বামীর পাশাপাশি তারাও সংসারের হাল ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এরই কারণে আজ গ্রামাঞ্চলের মাঠে ঘাটে ধান কাটা, ধান বুনা, পাট কাটা, পাট ধোয়াসহ মাটি কাটার কাজেও মহিলা শ্রমিকদের সংখ্যা বেশি এর মুল কারণ মহিলা মুজুরীর টাকা কম এবং কাজ করেও বেশি। সেই মাটি কাটার কাজ করেও একটু শান্তি মিলছেনা দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জন্য। সেই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার কাছে আজ ১৯৮ জন দুস্থ মহিলা কেয়ার প্রোজেক্টে মাটি কাটার কাজ করেও  মাস শেষে ঘুষ না দিলে ।তাদের বেতন থেকে ঘুষের টাকা কর্তনের পর কর্মজীবি মহিলাদের হাতে টাকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের সরকার পাড়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন গত ১৩ই জুলাই ২০১৫ইং দুপুরের দিকে কেয়ারের অধিনে কাচা রাস্তায় মাটি ফেলে সংস্কারের কাজ করছিল ২০জন দুস্থ মহিলা সেই কাজের চিত্রটি ধারণ করতে গেলে এই অসহায় মহিলাগুলো তাদের রাস্তায় কাজ করা জিম্মি দশার চিত্রটি তুলে ধরেন। অনেকেই দুর্নীতিবাজ ও হুমকি দাতার কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন। এব্যাপারে উক্ত দুস্থ মহিলা টিমের সভাপতি এস্তেনুর (৪৫) বলেন, আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার গণ কোনপ্রকার  উৎকোচ ছাড়াই  আমাদের চাকুরী দিয়েছে কেয়ারের মাধ্যমে। অথচ প্রতিটি মহিলা সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। তার বিনিময়ে প্রতি মাসে ৪৫০০ টাকা বেতন পাই, এর মধ্যে আমাদের প্রতিটি ব্যাক্তির ব্যাংক একান্টে ১৫০০ টাকা জমা রেখে বাকি তিন হাজার টাকা প্রতিমাসে এই কাজের কেয়ার এনজিও কর্তৃক সুপারভাইজার মোঃ নাজিমুল ইসলাম লিমন প্রতিমাসে বেতনের সময় আমাদের কাছ থেকে জন প্রতি ২৫০ টাকা উৎকোচ গ্রহণ করে বাকী টাকা প্রদান করে। এব্যাপারে আমরা প্রতিবাদ করলে আমাদেরকে শারিরকভাবে নির্যাতন সহ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কাজের তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। আজ পর্যন্ত এই দুস্থ মহিলা গণ তাদের নিজ নিজ ব্যাংক একাইন্ট নম্বর ও জানেন না।তবে তদের নিজ ্একাউন্ট যানতে চাইলে নেমে আসে অমানসিক নির্যাতন। সুপার ভাইজার লিমনের দুর্নীতির সীমা এখানেই শেষ নয়। কোন মহিলার পারিবারিক অসুবিধা দেখা দিলে টাকা ছাড়া তাদের কপালে ছুটি জোটে না।একইভাবে  ডোমার উপজেলার ১৯৮ জন দুস্থ মহিলা আজ এই দুর্নীতিবাজ কেয়ার সুপার ভাইজার এর কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাই তারা এই জিম্মি দশা থেকে বাচার জন্যই উর্ধতন কর্মকর্তার নেক দৃষ্টি কামনা করছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 9034639929534300802

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item