চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি কার্যালয়ে হাত-পা বেঁধে শিশু নির্য

হাজী মারুফ রংপুর বুরে‌্যা আফিস : 

পীরগঞ্জে ১২ বছর বয়সের শিশুপুত্র সুমন মিয়াকে এক গ্রাম পুলিশ পারিবারিক শাসনের নামে লাঠি পেটা করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সোর্পদ করে। চেয়ারম্যানের নির্দেশে ওই পরিষদ কার্যালয়ে শিশুটিতে হাতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। সে সময় গ্রাম পুলিশের অপর ২ সদস্য ওই শিশুকে মারপিট করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা ভেন্ডাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে। শিশু নির্যাতনে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কোন ব্যবস্থা নেননি।

পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের বেহবতপুর গ্রামের আউয়াল মিয়ার পুত্র সুমন মিয়া (১২)। সে তার বাবা-মা’র অবাধ্য হয়ে প্রায়শই অন্য শিশুদের সাথে ঝগড়া বিবাদ করে। পাশাপাশি মোবাইল, টাকা এমনকি অন্যের ঘর থেকে জিনিসপত্র চুরি করে বলে সুমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় গত ১৪ জুলাই সকালে সুমনের এক জ্যাঠা ভেন্ডাবাড়ি ইউপির গ্রাম পুলিশের সদস্য ওই শিশুকে বাড়িতে মারধর করে। পরে তাকে শায়েস্তা করতে ভেন্ডাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে নেয়া হলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে ইউপি কার্যালয়ের কক্ষে চেয়ারের সাথে শিশু সুমনের হাত-পা বেঁধে রাখা হয়। হাতের বাঁধন খুলে গেলে গ্রাম পুলিশ আকমল হোসেন ও মঞ্জুর হোসেন আবারো চেয়ারের সাথে সুমনের হাত শক্ত করে বেঁধে কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেয়। ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৫’শ গজ দূরে ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ না জানলেও পীরগঞ্জ থানা পুলিশ অবগত হয়ে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়। পরে আহত অবস্থায় চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশের ২ সদস্য সুমনকে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। ভেন্ডাবাড়ী পুলিশ তদস্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শাহিনুল আলম বলেন-সুমনের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে তাকে পারিবারিকভাবে শাসনের পর চেয়ারম্যানের কাছে দিয়েছে। শিশুটির শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়ে অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ ও ইউপি চেয়ারম্যানকে গালমন্দ করেছি। 

ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, সুমনকে জেলখানায় দেয়ার জন্য তার বাবা বলেছে। সমাজসেবা অফিসারের পরামর্শ নেয়ার জন্য পীরগঞ্জে আসায় আমার কার্যালয়ে সুমনকে রাখা হয়েছিল।