হাতীবান্ধা প্লাবিত তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দী.. বিলীন হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক বাড়িঘর
https://www.obolokon24.com/2015/07/-post_2.html
হাজী মারুফ রংপুর বুরে্যা অফিস :
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়া এবং উজানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পায়। এদিকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দিয়ে নিয়ন্ত্রনের চেষ্ঠা চলছে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় তিস্তা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ী ঢলে নি¤œাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভারতের গজল ডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দেয়া এবং উজানে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধি পায়। এদিকে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইস গেট খুলে দিয়ে নিয়ন্ত্রনের চেষ্ঠা চলছে।
বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ ৫২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত রয়েছে। (বিকাল ৩ টা পর্যন্ত)বন্যায় হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, ধুবনী, চর সিন্দুর্না, ডাউয়াবাড়ী, প্লাবিত হওয়ায় অর্ধশতাধিক বাড়িঘর বিলীন হয়ে গেছে।এতে জেলার নদী তীরবর্তি এলাকার ১০হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।বন্যার্ত লোকজন উচুঁ সড়কে আশ্রয় নিয়েছে। গবাদি পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে বিপাকে পড়েছে চরাঞ্চলের মানুষ। হাতীবান্ধা-বড়খাতা বাইপাস সড়কের তালেব মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বের পাকা রাস্তা ও পারুলিয়ার কারবালার দীঘির পাড়ের সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় এসব এলাকার লোকজনের শহরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে ফ্লাড বাইপাস এলাকা থেকে রেড এলাট তুলে নেয়া হয়েছে। বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন অতিরক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রেজাউল করিম,হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু ও ইউএনও মাহবুবুর রহমান।হাতীবান্ধার পিআইও ফেরদৌস আহম্মেদ জানান, ৯হাজার ৪শ’ ৩৩টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে, বন্যা কবলিত এলাকার জন্য ৩৫ মেট্রিকটন জিআর বরাদ্দ এসেছে, আরো ত্রান চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করা হয়েছে।