সৈয়দপুর পৌরসভার ৩৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা

মোঃ জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি ঃ
নাগরিক সেবা বৃদ্ধির প্রতি লক্ষ্য রেখে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার প্রায় ৩৬ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌর পরিষদের মিলনায়তনে তিনি ওই বাজেট ঘোষণা করেন।
২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষণায় পৌরসভার সমস্যা সমাধানের বিষয়ে উপস্থিত সাংবাদিক ও পৌরবাসীর করা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি নাগরিক সেবা বৃদ্ধির প্রতি লক্ষ্য রেখে এ বাজেট ঘোষণার কথা উল্লেখ করেন। বাজেটটি স্থানীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে সম্প্রচার করা হয়েছে।
গতদিনের প্রতিটি বাজেটের ন্যায় এবারেও রাস্তাঘাট,
কালভার্ট, ড্রেন উন্নয়ন, হাটবাজার স্থাপন ও বিদ্যুৎ খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় ধরা হয়েছে। এছাড়া পার্ক, কবরস্থান ও শ্বষান ঘাট নির্মাণ, এ্যাম্বুলেন্স ক্রয়, ষ্টেডিয়াম ও কমিউনিটি সেন্টারের কথা বলা হয়েছে। স্থানীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলের মাধ্যমে প্রায় দেড় ঘন্টা ব্যাপী, টেলিফোন, মোবাইল ফোন অথবা সরাসরি জনসাধারণের প্রশ্নের উত্তর দেন মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার। বাজেট চলাকালীন সময়ে তিনি বলেন শুধুমাত্র পৌরসভার মেয়র হলেই পৌরবাসীর সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা। পৌরবাসীর সহযোগিতা আর পৌর পরিষদের আপ্রাণ চেষ্টা থাকলে শহরের উন্নয়ন সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে এবারের বাজেট নিয়ে পৌর বাসীর মাঝে কোন প্রতিক্রিয়াই লক্ষ্য করা যায়নি। কারন এ পৌরসভায় শুধু বাজেটই হয় প্রতিবছর। বাজেট লক্ষ্যমাত্রার সিকিভাগও উন্নয়ন হয়না।
শহরবাসী বলেন, পৌর মেয়রের মেয়াদকাল থাকে ৫ বছর। এ ৫ বছরে কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়। পৌরসভার ওয়ার্ড রয়েছে ১৫টি। ১৫টি ওয়ার্ডের উন্নয়ন করতে যদি একেকটি ওয়ার্ডে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয় তাহলে ১৫ ওয়ার্ডে বরাদ্দ হয় ৯০ কোটি টাকা। বাকী ১০ কোটি টাকা পৌর পরিষদ, কর্মচারী ও কর্মকর্তার বেতন বাবদ অবশিষ্ট থাকে। একেকটি ওয়ার্ডে ৬ কোটি টাকা ব্যয় করলে দেশের ১নং উন্নত পৌরসভায় রূপ পাওয়ার কথা। কিন্তু তা করা হয় না। শুধু বাজেটই হয় প্রতিবছর।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহতের কথা প্রতিবছর বলা হলেও শহরের ৮নং ওয়ার্ডে নেই কোন ড্রেন, নি¤œনামের রাস্তাঘাট, ডাস্টবিন নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে ময়লা আবর্জনা সহ জলাবদ্ধতার রূপ নেয় স্থায়ীভাবে। এ ওয়ার্ডে বসবাস করেন নীলফামারী ৪ আসনের সাংসদ ও বিরোধী দলীয় হুইপ আলহাজ্ব শওকত চৌধুরী, একাধিক ডাক্তার, সাংবাদিক, বিশিষ্ট ক’জন শিল্পপতি, উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান। কিন্তু এরপরও উন্নয়ন নেই। অথচ বাজেটে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি থাকলেও বাস্তবায়ন হয় না সিকি ভাগও। এ মন্তব্য শহরবাসীর।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 2048618603644531040

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item