ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে এখন বাদি গঙ্গাচড়ায় বাদির স্বীকারোক্তিতে ধর্ষন মামলার রহস্যজট খুলছে

হাজী মারুফ,রংপুর ব্যুরোঃ ------সাজানো ধর্ষন মামলার জট অবশেষে বাদির স¦ীকারোক্তিতে খুলতে শুরু করেছে। ফলে একদিকে যেমন দিশেহারা আসামীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। অন্যদিকে ষড়যন্ত্রকারি মামলার সাক্ষিরা পড়েছেন বে-কায়দায়। অপরদিকে বাদি সোহাগী বেগম এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের মাঝে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করায় সর্ম্পকীয় মামা রিপন ও তার ভুমিদস্যু বাহিনীর সদস্যরা তাকে হর্ন্য হয়ে খোজায় এলাকাবাসী তার নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে সোহাগী বেগম স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় গঙ্গাচড়া থানা পুলিশের মাধ্যমে বর্তমানে রংপুর নারী নিকেতন সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গঙ্গাচড়ার উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়নের ভাঙাগাগড়া চর এলাকায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাউনিয়া উপজেলার টাংরির বাজার এলাকার চর চতুয়া গ্রামের মৃত সর্দ্দি আমিনের ছেলে আমিনুর রহমানের সাথে মর্ণেয়ার চর ভাঙগাগড়ার সোহাগীর সর্ম্পকীয় মামা হারাগাছ দর্জিপাড়া গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে রিপন মিয়া বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলে। এরই এক পর্যায়ে রিপন মিয়া মিথ্যা প্রলোভনের জালে ফেলে আমিনুর রহমানকে অল্প টাকায় জমি ক্রয় করে দেয়ার কথা বলে প্রায় ৬লাখ টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেয়। সেই ক্রয়কৃত জমির দলিলও জাল করে দেয় রিপন। যার কাগজপত্রাদি সম্পূর্ণ ভুয়া। এঘটনা জানতে পেরে আমিনুর রহমান ভুমিদস্যু বলে এলাকায় পরিচিত মাদক ব্যবসার মহাজন রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর কাছে বিচার দিলে টাংরির বাজারে এক শালিসী বৈঠক বসে। বৈঠকে গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে ভূমিদস্যু রিপন আমিনুরের হাত-পা ধরে নিজের কৃতকর্মের ভুল স্বীকার করে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য কিছুদিন সময় চান। অক্ষর জ্ঞান না থাকায় আমিনুল সহজ-সরল বিশ্বাসে রিপন মিয়াকে সেদিন ছেড়ে দেন। এরপর থেকেই রিপন মিয়া টাকা ফেরত দেয়া তো দুরের কথা, আমিনুরের বিরুদ্ধে চালাতে থাকে ষড়যন্ত্র। এরই ধারাবাহিকতায় ভুমিদস্যু রিপন মিয়া বিভিন্ন ফন্দি-ফিকির এঁটে চর ভাঙাগাগড়া (মর্ণেয়া) এলাকার তার ধর্ম বোন পরিচয়ে পরকীয়া প্রেমিকা বিধবা শরিফা আক্তারকে হাত করে। শরিফা আক্তার তার ছেলে শরিফুল ইসলামের স্ত্রী নাদিরা বেগমকে জোরপূর্বক ধর্ষন ও তার ছোট মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ তুলে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় আমিনুর ও তার ছোট ভাই, ভাগ্নে ও এক বন্ধুকে আসামী করে গত ২৮ মে একটি মামলা দায়ের করেন। যার নং-২৩। মামলা দায়েরের পর আমিনুর ও তার পরিবারের লোকজন পড়েন অস্বস্তিতে। মিথ্যা অপবাদের বোঝা মাথায় নিয়ে এর ও কাছে ধর্না দিয়ে কোন কুল-কিনারা না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন বিবাদিরা। এদিকে গত ৬দিন পূর্বে ওই মামলার বাদি সোহাগী বেগম সরাসরি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় গঙ্গাচড়া মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জকে প্রকৃত ঘটনা খুলে বলেন এবং রিপন মিয়ার নাটকীয় তান্ডব উম্মোচন করে। পরে থানা পুলিশ বাদি সোহাগী বেগমের নিরাপত্তার জন্য আদালতের মাধ্যমে নারী নিকেতন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণ করা হয়। এর আগে সোহাগী বেগম সরাসরি ভিডিও রেকর্ডের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের মামলা দায়েরের ঘটনা খুলে বলেন।
অপরদিকে গত বুধবার মামলার বাদি সোহাগী বেগমের মাকে অপহরণের জন্য মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় তার আত্মচিৎকারে স্থানীয় জনতা রিপন মিয়াকে হাতে-নাতে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেয়। 
এব্যাপারে ঘটনার কথা স্বীকার করে গঙ্গাচড়া মডেল থানার এসআই ইলিয়াস মোবাইল ফোনে বলেন, বর্তমানে মামলার বাদি সোহাগী বেগম জীবনের নিরাপত্তার জন্য রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাকে নারী নিকেতন ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে প্রেরণ করার নির্দেশ দেয়। 
অপরদিকে থানা অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুল মান্নান মোবাইল ফোনে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জেনে নিন বলে মন্তব্য করেন। 

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item