রাজমিস্ত্রীর ঘরে প্রকৌশলীর স্বপ্ন

হাজী মারুফ রংপুর ব্যুরো.
অভাবের সঙ্গে লড়াই করে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার ইমামগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছে আতাউর রহমান। ভালো ফল পেয়েও অসহায় বাবার নিরন্তর প্রচেষ্টায় কতদূরই বা এগুতে পারবে এ দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে তার এবং পরিবারের।
উপজেলার শ্রমিক অধ্যুষিত হারাগাছ এলাকার নাজিরদহ গ্রামের রাজমিস্ত্রী তৈয়ব আলীও ছেলের অভাবনীয় ফলাফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে ২ ছেলে ২ মেয়ের পড়াশোনা চালাতে গিয়ে এমনিতেই নাভিশ্বাস উঠেছে তার।
এ অবস্থায় ছেলের প্রকৌশলী হওয়ার ইচ্ছাপূরণ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ের অন্ত নেই তৈয়ব আলীর।
তৈয়ব আলী দৈনিক আজকালের খবরকে জানান, রাজমিস্ত্রীর কাজ করে সংসারের ঘানি টানতে হয়। যা পাই তা দিয়ে কোনো রকমে দিন চলে যায়। ছেলেকে প্রকৌশলী করে গড়ে তুলতে যে অর্থ ও সহযোগিতার প্রয়োজন তা বহন করা তার পক্ষে সম্ভব হবে না।

আতাউর জানায়, অন্যের ছেলে-মেয়েকে প্রাইভেট পড়ানোর পাশাপাশি বাবার জোগালী হয়ে কাজ করে নিজের পড়াশোনাটা চালিয়ে এসেছি।
নিজের অর্ধাহার-অনাহারসহ সব প্রতিবন্ধকতাকে পদদলিত করে এগিয়ে যেতে চায় সে। হতে চায় প্রকৌশলী। তবে তার এ চলার পথে কেউ এগিয়ে আসলে কষ্ট কিছুটা লাঘব হতো বলে আশা করছে আতাউর।
মা আয়শা বেগম ছেলের সাফল্যে খুশি হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
তিনি বলেন, ছেলে চায় প্রকৌশলী হতে, কিন্তু দরিদ্র পরিবারের পক্ষে কিভাবে সম্ভব। সংসারে একজন মাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল ৬ জনের সংসার। তিনি ছেলের জন্য দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেছেন।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 9183293877087339975

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item