ফরমালিন পরীক্ষার সঠিক যন্ত্র নেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান মুখ থুবড়ে পড়েছে

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
সৈয়দপুরে ফরমালিন পরীক্ষার যন্ত্র না থাকায় মাছ ও ফলে ফরমালিন রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ইতোমধ্যে যে যন্ত্র দিয়ে ফরমালিন পরীক্ষা করা হতো সেটি খাদ্যদ্রব্য বা ফলে থাকা ফরমালিন পরীক্ষা জন্য নয়, সেটি ছিল বাতাসে ক্ষতিকর কেমিক্যাল (রাসায়নিক) আছে কিনা সেটি পরীক্ষার জন্য।
ভোক্তাদের স্বাস্থ্যহানি রোধে বিভিন্ন সংস্থা হাইকোর্টে একটি প্রতিবেদন দাখিল করে। ওই প্রতিবেদনের  প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট গত নভেম্বর মাস থেকে আগামী ১ মাসের মধ্যে ফরমালিন পরীক্ষার সঠিক যন্ত্র সংগ্রহের জন্য খাদ্য, স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই নির্দেশের ৬ মাস অতিক্রম হলেও ফরমালিন পরীক্ষার সঠিক যন্ত্র আবিস্কার করা সম্ভব হয়নি বলে জানা গেছে।সচেতন মহল জানান, গত বছর ফরমালিন রোধে সৈয়দপুর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম শহরে সাঁড়াশি অভিযান চালালে মওসুমী ফলের উৎপাদক আম ও লিচু বাগানের মালিক ব্যবসায়ীসহ ভোক্তাদের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার অভিযান না থাকার দরুণ বাগান মালিক, ব্যবসায়ীরা প্রায় দাপটের সাথেই কার্বরাইট দিয়ে ফল পাকিয়ে তাতে ফরমালিন মিশিয়ে বিক্রি করে চলেছেন।নাগরিক কমিটির সভাপতি ইদ্রিস আলী জানান, ভোক্তাদের স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রেখে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন বাজারে অভিযান পরিচালনা করে থাকেন। কিন্তু এ বছর ফরমালিন পরীক্ষার সঠিক যন্ত্র না থাকার দরুণ ফরমালিন মেশানো ফল খাদ্যদ্রব্য ও মাছ নিধন অভিযান পুরোটাই বন্ধ রয়েছে। এর ফলে জনস্বাস্থ্য পড়েছে হুমকির মুখে।
নাগরিক সেবাদান শেকড় নামের এক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী জানান, সৈয়দপুর বাজারে ফল, মাছ বা খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকর ফরমালিনের উপস্থিতি নিশ্চিত হতে অভিযান পরিচালনা করতেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতেন স্থানীয় প্রশাসন। ফল বা খাদ্যে ফরমালিন পাওয়া গেলে ব্যবসায়ীদের জরিমানা, কারাদন্ড বা ধ্বংস করা হতো খাদ্যদ্রব্য বা ফলমূল। কিন্তু এবারে ফরমালিন পরীক্ষার সুনির্দিষ্ট যন্ত্রের অভাবে ফরমালিন পরীক্ষার পাশাপাশি মোবাইল কোট পরিচালিত হচ্ছে না। যার ফলে সুযোগ সন্ধানী অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি মুনাফার আশায় ফল, মাছ ও খাদ্যদ্রব্যে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করেই চলেছেন। তিনি বলেন, গত বছর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঘন ঘন অভিযানের ফলে ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছিল। কিন্তু এবার ফরমালিন পরীক্ষার যন্ত্রের অভাবে অভিযান বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা দাপটের সাথেই ফরমালিন মেশানো মাছ খাদ্যদ্রব্য সহ মৌসুমী ফলের ব্যবসা করে চলেছেন। দেরিতে হলেও হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করে ভোক্তাদের স্বাস্থ্যহানী রোধে ফরমালিন মাপার সঠিক যন্ত্র আমদানি করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থদন্ড বা কারাদন্ড প্রদানের দাবি জানান তিনি।কথা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সালেহ মো. মুসা জঙ্গীর সাথে। তিনি বলেন, ফরমালিন পরীক্ষার সঠিক যন্ত্র আসলেই নেই। তবে অল্পদিনের মধ্যে সেটি সংগ্রহ করে অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। 

পুরোনো সংবাদ

স্বাস্থ্য-চিকিৎসা 9029147619043615738

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item