বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনে মিলাদ মাহফিল, মিষ্টি বিতরণ
https://www.obolokon24.com/2015/06/post_49.html
আবু ফাত্তাহ্ কামাল (পাখি),স্টাফ রিপোর্টারঃ
“আলাহ আমরা ছিটমহলবাসী অনেকদিন ধরে নাগরিক অধিকার না পেয়ে অনেক কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছি। আগামীকাল ছিট মহল সমস্যা সমাধানের জন্য ভারতের প্রধান মন্ত্রী বাংলাদেশে এসেছেন। তাকে সুমতি দাও যেন আমাদের এই দীর্ঘদিনের সমস্যার সমাধান করে দেন ।” আজ শনিবার বাদ জোহর ডোমার উপজেলা সংলগ্ন বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী ছিটমহলের গাইবান্ধাপাড়ায় মিলাদ মাহফিলে এই দোওয়া করেন মৌলভী মোহাম্মাদ আব্দুল মজিদ।
“ছিটমহল সমস্যা দীর্ঘদিনের। স্বাধীনতার পূর্বাপর নানা সরকার এদেশে এসেছেন। কিন্তু এই সমস্যা সমাধান হয়ন্ িবরং সমস্যার বেড়াজাল দীর্ঘ হয়েছে। ছিটমহল সমস্যার সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইন্দ্রিরা-মুজিব চুক্তির মাধ্যমে।
কিন্তু সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। এরপর অনেক সরকার এসেছেন। কিন্তু সমাধান হয়নি। সর্বশেষ সমাধানের জন্য এগিয়ে আসেন বঙ্গবন্ধ কণ্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাচিনা। তাঁরই প্রচেষ্টায় আজ আশার আলো দেখার সুযোগ পাচ্ছে দীর্ঘদিনের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিটমহল বাসী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে আসায় বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী ছিটমহলের গাইবান্ধাপাড়ায় মিলাদ মাহফিল আয়োজন শেষে দীর্ঘণ এই কথাগুলো বলেন, গাইবান্ধাপাড়ায় প্রস্তাবিত গাইবান্ধাপাড়া বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি আলতাফ শেখ। তিনি আরও বলেন, আজ আমরা অনেক খুশি। কারন, আমরা মনে করি ছিট সমস্যার সমাধান হবেই। আর আমরা স্বাধীনতা পাবই। মিলাদে অংশ নেওয়া ফরিজল শেখ বলেন, আমরা ব্যক্তিগতভাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি মোদীকে দাদা সম্বোধন করে বলেন, “যেহেতেু দাদা বাংলাদেশে এসেছেন আমাদের আর কোন চিন্তা নেই। আমরা নাগরিকত্ব পাবই । কারণ তিনি আমাদের অভিভাবকও বটে। পিতা হয়ে সন্তানের কথা চিন্তা করেই তিনি ছিটমহল চুক্তি বাস্তবায়ন করবেন ”। বালাপাড়া খাগড়াবাড়ী ছিটমহলের নাগরিক কমিটির সদস্য আবুল কাশেম বলেন, আমরা আন্তরিকভাবে মোদীজীকে ধন্যবাদ জানাই। তিনি এই দর্ঘিদিনের সমস্যা সমাধান করে আমাদেরকে মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে দেবেন। তার সাথে ধন্যবাদ জানাই জননেত্রী শেখ হাচিনাকে । যাঁর অকান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে আজ আমরা সুফল পেতে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমরা অনেকদিন যাবতঃ নাগরিক অধিকার থেকে শুরু করে সব অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলাম। এবার যেন আমাদের ছিটমহলবাসীদের জন্য মুক্তিযোদ্ধাগনের যেমন কোটা রয়েছে তেমনি যেন কোটা থাকে । এটা আমার ছিটমহলবাসীর প থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ।