রংপুরে চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতির স্বর্ণ ক্রয় করে কর্মচারি থেকে কোটিপতি

হাজী মারুফ,ব্যুরো প্রধান রংপুর ব্যুরোঃ চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি করা স্বর্ণের ব্যবসা করে কর্মচারি থেকে এখন লাখ লাখ টাকার মালিক বনে গেছেন রংপুরের মাহিগঞ্জ বাজারের স্বর্ন ব্যবসায়ী ও আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য রবিউল আজাদ  বিপুল। চোরাই ব্যবসা করে দুমাস পর পর বদলান দামি মোটর সাইকেল। নামে বেনামে বাড়ি গাড়িও করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ ডাকাতি হওয়া ৩ ভরি স্বর্ন ও অন্যান্য মামলামাল উদ্ধার করেছে তার দোকান থেকে। তাকে গ্রেফতার করে জিঞ্জাসাবাদ করছে। পুলিশী জিঞ্জাসাবাদে তিনি চোর, ছিনতাইকারি ও ডাকাতদের সাথে সখ্যতা এবং তাদের সব স্বর্ণ তিনি কমদামে ক্রয় করে নিতেন বলে জানান। এব্যাপারে তার বিরুদ্ধে দুটি ডাকাতি মামলা হয়েছে।
আরো কয়েকটি মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশী  জিঞ্জাসাবাদে সব স্বীকার করেছেন তিনি বলে জানান, কোতয়ালি থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী। তিন আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যকে গ্রেফতারের পর রবিউল আজাদ  বিপুলকেও গ্রেফতার করা হয়। বিপুলও ওই ডাকাতদলের সদস্য। 

কোতয়ালি থানা সুত্রে জানা গেছে, রংপুর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় পরপর বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে সফি উল্লাহ মিয়া, টিটু চৌধুরি, আজিজুল ইসলাম, শরিফুল ইসলামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসব ডাকাতির ঘটনায় ডাকাতদের গ্রেফতারে  পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার রেজওয়ান, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার রফিক ও ময়মনসিংহ জেলার আল-আমিন নামে তিন ডাকাতকে। তাদের থানায় এনে ব্যাপক জিঞ্জাসাবাদ করে। এরপর তারা এসব ডাকাতির ঘটনা স্বীকার করে এবং ডাকাতির সব স্বর্ণ তারা মাহিগঞ্জ বাজারের স্বর্ন ব্যবসায়ী মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে রবিউল আজাদ বিপুলের কাছে জমা রাখতেন। পরে বিপুল সেগুলো অর্ধেক দামে ক্রয় করতেন। বিপুল মাহিগঞ্জ বাজারে আধুনিক গহনা ঘর নামে একটি স্বর্নের দোকান দিয়েছেন দুতিন বছর আছে। আগে স্বর্ণের কারিগর ছিলেন। দোকানে  তেমন একটা বিক্রি না হলেও তার দামি মোটর সাইকেল, গাড়ি, পোষাক,  দামি ঘড়ি রয়েছে তার একাধিক। নামে বেনামে বাড়ি এবং জমিও ক্রয় করেছেন তিনি। তিনি সপ্তাহে দুতিন দিন ঢাকা চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতেন। তার দোকানেও অপরিচিত লোকজনের আড্ডা থাকতো সব সময়। 
কোতয়ালি থানার ওসি আবদুল কাদের জিলানী জানান, তিন আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যকে গ্রেফতারের পর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বিপুলকে গ্রেফতার করা হয়। বিপুল জিঞ্জাসাবাদে পুলিশকে সব খুলে বলে। সেও ডাকাতদের সাথে রয়েছে। এছাড়া চুরি, ছিনতাই ও ডাকাতি করা যত স্বর্ন পাওয়া যেত সব স্বর্ন তার দোকানে রাখা হত। এরপর বাজার মুল্যের অর্ধেক দামে তিনি তা ক্রয় করে নিতেন বলে জানান বিপুল। এভাবে চোরাই স্বর্নের ব্যবসা করতেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকারও করেন। ওসি আরো জানান এরই মধ্যে রবিউল আজাদ বিপুলের বিরুদ্ধে ২টি ডাকাতির মামলা হয়েছে। আরো মামলার প্রস্তুতি চলছে। বিপুলও আন্তঃজেলা ডাকাতদলেরও সদস্য। তাদের সাথে আরো কারা কারা জড়িত তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে ওসি জানান। লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছেন বিপুল এসব ব্যবসা ও ডাকাতি করে বলে পুলিশ জানায়। 

পুরোনো সংবাদ

রংপুর 7379984883287145652

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item