উত্তরাঞ্চলে ফেন্সিডিলে ভেজাল, দাম কম তাই চাহিদাও বেশি!

এ.আই পলাশ, ঃ মাদকাশক্তদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে চোরাই পথে ভারতীয় ফেন্সিডিল আমদানীর পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের ভারতীয় সীমান্তের ভারতের বিভিন্ন গ্রামে গোপনে ফেন্সিডিল তৈরীর কারখানা গড়ে ওঠেছে। আর এই মরণ নেশার ফেন্সিডিল খেয়ে শরীরের জন্য মারত্বক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে যুব সমাজ। বর্তমানে তরুণ বয়সের যুবকরা অল্প পয়সায় এই সব নকল ফেন্সিডিলের প্রতি ঝুকে পড়েছে।
এর কারণ দাম কম নেশাও হয় ভাল। উত্তর জনপদের চোরাচালানের সর্বরাজ্য হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের হিলিসহ পঞ্চগড়, ঠাকুরগাও, নীলফামারী, লালমনিরহাট কুড়িগ্রাম সীমান্তের চোরাই পথে সীমান্ত এলাকার প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ব্যাপক আকারে ভারতীয় ফেন্সিডিল ও নেশার তরল পদার্থ আসছে। এইসব ফেন্সিডিল ও তরল পদার্থ বর্তমানে প্লাষ্টিকের জারে সীমান্ত এলাকা পার করে সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের সীমান্ত এলাকাগুলোতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের নিস্ক্রিয়তার কারণে উত্তর জনপদে মাদকাস্কতদের সংখ্যা দিন দিন আশংকা জনক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় বর্তমানে  বার্ডাগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র করা দৃষ্টির কারণেই দুই দেশেরই চোরাকারবারীরা অতিগোপনে এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় নেশাজাতের দ্রব্য সর্বরাহ কম হওয়ায় ঘাটতি পূরণের জন্য নকল ফেন্সিডিল তৈরীর বিপদজনক পথ বেছে নিয়েছে ভারতীয় সীমান্তের ভেতরেই বেশ কিছু অসাধু নেশা ব্যবসায়ী। অপরদিকে ভারতীয় সীমান্তের চোলাই মদ তৈরীতে অভ্যস্ত কারিগর দিয়ে নকল ফেন্সিডিল তৈরী করা হচ্ছে। সেই নকল ফেন্সিডিল চোরা কারবারীরা ২০কেজি কিনে ৬০,১০০,১২০,৫০০ এমএল বোতলে ভরে বিক্রি করা হয় এবং স্থানীয় প্রেসের মাধ্যমে নকল লেভেল ছাপিয়ে বোতলে লাগানো হয় এবং বিশেষ ব্যবস্থায় মেশিন দিয়ে বোতলের কর্ক লাগানো হয় পড়ে এই সব ভেজাল ফেন্সিডিল দেশের বিভিন্ন স্থানে সর্বরাহ করা হয়। উল্লেখ্য গত ০৮/০৬/২০১৫ইং তারিখে চিলাহাটি বাজার এলাকার এক ব্যাক্তি তার অসুস্থ্যতার কারণে ডাক্তার তাকে প্রতিদিন দুই চামচ করে ফেন্সিডিল পান করার পরামর্শ দিলে উক্ত ব্যাক্তি ডিমলার  সীমান্ত এলাকা থেকে ৩৫০ টাকা দিয়ে একটি ফেন্সিডিলের বোতল কিনে এনে খাওয়ার সময় দেখতে পান সেই বোতলে মিষ্টর সিরা, চাপাতার রং ও বোতলের ভেতরের শেষ অংশে সাদাসাদা দানা পড়ে আছে। বোতল নিয়ে স্থানীয় ব্যাক্তিদের কাছে গেলে বোতলের ফেন্সিডিল একটি পাত্রে ঢেলে দেখতে পায় ঘুমের ট্যাবলেট, মিষ্টির সিরা ও চাপাতার রং দিয়েই এই ফেন্সিডিলের বোতলটি তৈরী হয়েছে। এ অবস্থার সৃষ্টি হলে সাধার মানুষরা আজ যাবে কোথায়? যদি এই মুহুর্তে সীমান্ত এলাকায় কঠোরভাবে মাদক ব্যবসা দমন করা না যায় তাহলে আগামীতে শরীরের জন্য মারাত্বক ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াবে এবং ফেন্সিডিল খাওয়ার  আশংকা দিনদিন বৃদ্ধি পাবে।

পুরোনো সংবাদ

নিবিড়-অবলোকন 1654908203258005869

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item