সামাজিকভাবে এ কোন বিচার, ইজ্জতের মূল বিশ হাজার!ডোমারে বাক প্রতিবন্ধী তরুণীকে বিয়ের প্রোলোভন দেখিয়ে ইজ্জত হরণ:


এ.আই.পলাশঃ নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুড়ী এলাকার বোতলগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শবর্তী গ্রামে এক বাক প্রতিবন্দী তরুনীকে এক লম্পট বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবত গ্রামবাসীর চোখে ফাঁকি দিয়ে তার ইজ্জত হরণ করে আসছিল। এই ঘটনাটি এলাকায় প্রাকাশ পেলে সমাজের একশ্রেণীর লোকেরা তরিঘড়ি করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিচার শালিশের মাধ্যমে আবারো সেই প্রতিবন্ধীর পরিবারকে অর্থের বিনিময়ে ধোকা দেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের নিজ ভোগডাবুড়ী বোতলগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গ্রামের ময়জুলের কন্যা গোলাপী (১৯) জন্ম থেকেই বাক প্রতিবন্ধী অবস্থায় নিজ বাড়িতেই থাকতো। সেই সূত্র ধরেই একই গ্রামের হাসিবুলের লম্পট পুত্র লাবু (২০) প্রতিবন্ধী গোলাপীকে বিয়ের প্রোলোভন দেখিয়ে বেশ কিছু দিন  যাবত গ্রামবাসীর চোখে ফাঁকি দিয়ে তার সাথে দৈহ্যিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এ ব্যাপারে উভয় পরিবারের মধ্যে ঘটনাটি জানা জানি হলে মেয়ে পক্ষ থেকে সেই লম্পট লাবুর পরিবারকে গোলাপীর সাথে লাবুর বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সুযোগ সন্ধানী লাবুর পরিবার লাবুকে গোপনে অন্যত্রে বিয়ে দেয়ার চেষ্ট চালালে গোলাপী ঘটনাটি জানতে পেরে ২৪ শে জুন ২০১৫ইং  প্রকাশ্য দিবালোকে ছেলের বাড়িতে উপস্থিত হয়। উক্ত দিনেই ঘটনাটি প্রকাশ হলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ রাতেই আসল ঘটনাটিকে পাশ কাটিয়ে অর্থের বিনিময়ে নিঃস্পত্তির জন্য চেষ্টা চালায়। অবশেষে প্রতিবন্ধী মেয়ের চাচা সপিয়ার ঘটনাটি টাকার বিনিময়ে নিঃস্পত্তি না করে বিয়ের দেয়ার প্রস্তাব দিলে আপোষ মিমাংসার  বৈঠকটি পন্ড হয়ে যায়। সেই সুযোগে লম্পট লাবুর পরিবারের কিছু সদস্য সারাদিন এলাকার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেন দরবার করে শুধু এই মামলা থেকে বাচার জন্য তরিঘড়ি করে গত ২৫শে জুন ২০১৫ইং রাতে আবারো সুষ্ঠ বিচার করার কথা বলে প্রতিবন্ধী মেয়ে পক্ষকে বিচারে নিয়ে এসে অর্থের বিনিময়ে ধোকা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হয়। এ ব্যাপারে গত ২৬শে জুন ২০১৫ইং দুপুর ৩ ঘটিকার দিকে প্রতিবন্ধী গোলাপীর পিতা ময়জুল চিলাহাটি প্রেস ক্লাবের সকল সাংবাদিক বৃন্দকে তার প্রতিবন্ধী মেয়ের ন্যায্য বিচারের আশায় অভিযোগপত্র দায়ের করেন। বর্তমানে এই ঘটনাটিকে নিয়ে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিজ্ঞ মহলের প্রশ্ন, একটি সচেতন ছেলে কিভাবে বাক্য প্রতিবন্ধী মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতারিত করে। সেই দিক বিবেচনা করলে ঐ মেয়ের সঙ্গেই তার বিয়ে দেওয়া উচিত। এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পুরোনো সংবাদ

নীলফামারী 6981357990415661734

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item