আইএপিপি এখন খাইএপিপিতে পরিনত,লালমনিরহাটে প্রকল্প জেলা সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


হাজী মারুফ রংপুর আফিস বুরে‌্যা অফিস : 
সাবেক সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  ও বর্তমান আইএপিপির প্রকল্পের লালমনিরহাট জেলা সমন্বয়কারীর বিরুদ্ধে ইন্টিগ্রেটেড এগ্রিকালচারাল প্রোডাকটিভ প্রোজেষ্ট (আইএপিপি) প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। প্রকল্প সমন্বয়কারীর সিমাহীন দুর্নিতী ফলে আইএপিপি প্রকল্প এখন খাইএপিপি প্রকল্পে পরিণত হয়েছে। 

সরেজমিনে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ইন্টিগ্রেটেড এ্যগ্রিকালচারাল প্রোডাকটিভ প্রোজেষ্ট (আইএপিপি) পাঁচ বছর মেয়াদী প্রকল্পের ৪ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। ২০১৪-২০১৫ইং অর্থ বছরে আইএপিপি অধীনে কৃষি খাতে ভার্মিকম্পোস্ট এর এডাপশন কর্মসূচীর সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ১৪টি করে মোট ১১২টি এডাপশন কর্মসূচীর বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। প্রতিটি এডাপশনের জন্য সুস্থ্য কেচো ১৫০০টি মুল্য ৭৫০টাকা, রিং ৩টা করে মুল্য ৭৫০টাকা, সাইন বোর্ড ২০০ টাকা করেন বরাদ্ধ প্রদান করা হলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান অফিসের কাউকে না জানিয়ে নিজের খেয়াল খুশিমত একটি এনজিও থেকে ৫০০ টাকা করে ক্রয় করে এবং রিং প্রতিটি ১৫০ করে ৩টি রিং ৪৫০ টাকায় ক্রয় করে। এছাড়াও সাইন বোর্ড ১৫০টাকা করে ক্রয় করে নিজেই সরবরাহ করে। এতে সে কেঁচো ক্রয় বাবদ ২৫০ টাকা, রিং ক্রয় বাবদ ৩০০ টাকা ও সাইনবোর্ডে ৫০ টাকা মোট ৬০০ টাকা করে কম খরচ করে নিজের পকেট ভর্তি করে। একটি এডাপশনে সে ৬০০ টাকা আত্মসাৎ করলে ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি ১৪টি করে এডাপশনে মোট ১১২টি এডাপশনে ৬৭ হাজার ২শত টাকা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে থাকা কালীন আত্মসাৎ করে।
কৃষিবিদরা জানান, কেঁচো এনজিওর কাছ থেকে ক্রয় না করে কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করা উচিৎ ছিল। এতে কৃষকরা উদ্বুদ্ধ হতো। বেশি বেশি করে ভার্মিকম্পোস্ট উৎপাদনে উৎসাহ পেত। এছাড়াও কেঁচো প্রদর্শনী ৮টি ইউনিয়নের প্রতিটি ইউনিয়নে ২টি করে মোট ১৬টি প্রদর্শনী করা হয়েছে। প্রতিটি প্রদশর্নীতে সুস্থ্যকেঁচো ২০০০টি মুল্য ১০০০টাকা, ৪টি রিং মুল্য ১০০০টাকা ও ৬টি করে ২১০০ টাকা মোট ৪১০০ টাকা বরাদ্ধ থাকলেও প্রতিটি প্রদর্শনীতে  কিন্তু দুর্নীতিবাজ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা  নুরুজ্জামান শুধু তার নিজের পকেট ভর্তি করার জন্য ২০০০ করে টাকা খরচ করে এবং বাকী সমুদয় টাকা আত্বসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট প্রদর্শনী প্লটগুলো একাধিক কৃষকের দাবীর সাথে কাগজে কলমে যা দেখানো হয়েছে তার কোনো মিল খুজে পাওয়া যায়নি। অনেক কৃষক জানেন না তাদের নামে কি পরিমান অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এমনকি কাগজে কলমে যে সব প্রদর্শনীর নামে অর্থ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নাই। একাধিক কৃষক জানান, কৃষি কর্মকর্তা নুরুজ্জামান এই কাজ করে থাকেন।  কৃষি অফিসের এসও এবং এক শ্রেণির সুবিধা ভোগী কৃষকদের ম্যানেজ করে দীর্ঘ দিন থেকে তারা নানা রকমের অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। দীর্ঘ দিন ধরে সুবিধা বঞ্চিত কৃষকরা অবিলম্বে এই সকল  দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্তপুর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যপারে সাবেক সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা নুরুজ্জামানের  সঙ্গে কথা হলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে খারাপ আচারণ করেন এবং দম্ভ করে বলেন, আমি কোন সাংবাদিক কে তথ্য দিতে বাধ্য নই, আপনার কিছু করার থাকলে করেন। 
জানা গেছে, ওই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নুরুজ্জামান দুর্নীতি করে প্রমোশন পেয়েছেন। তিনি এখন আইএপিপি প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী হিসেবে যোগদান করেছেন। 
এ ব্যপারে লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাফায়েত হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমানে ওই কর্মকর্তা আর ওই পদে নেই। তিনি এখন একই প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। তার পরেও অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সাবেক লালমনিরহাট সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা ও দূনীতির মাধ্যমে অফিস সহকারী সহায়তায় ভুয়া কাগজ পত্র তৈরি করে এ টাকা আতœসাত করেছেন । এই ঘটনায় সুবিধা বঞ্চিত কৃষকরা অবিলম্বে এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে তদন্ত পুর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছে। আগামীতে এ প্রকল্পের এফওয়াইএম  ও সাক-সবজি এডাপশন এর  ইউনিয়ন অনুযায়ী তথ্য সম্বলিত খবর প্রকাশ করা হবে।

পুরোনো সংবাদ

লালমনিরহাট 8340947167483394590

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item