হরিদেবপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি সীমাহীন দূনীর্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

হাবিবুর রহমান সেলিম,পাগলাপীর প্রতিনিধি: রংপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ হরিদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৃত্যঞ্জয় চন্দ্র রায় ও সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মাষ্টারের সীমাহীন দূর্নিতীর বিরুদ্ধে বিক্ষিপ্ত এলাকাবাসী অভিভাবক মহল প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিকে স্যান্ডেল জুতা চেয়ার নিক্ষেপ করে লাঞ্চিত ও ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে এবং তাকে রক্ষা করতে গিয়ে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন সহ ২০ ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ অপ্রতিকার ঘটনাটি ঘটেছে। এ ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকায় গত ২
দিন ধরে টান টান চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা গেছে ঐতিহ্যবাহী হরিদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রী মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র রায় ও সভাপতি মো: মোফাজ্জল হোসেন মাষ্টার কমিটির বাকী সদস্যদের উপেক্ষা করে দুজনে মিলে প্রতিষ্ঠানটির নানা অনিয়ম দূর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে দূর্নীতির আখরায় পরিনত করে তুলেছেন। অভিযোগ উঠছে (১) সাম্প্রতি সরকারের দেওয়া বরাদ্দকৃত ১৭টি কম্পিউটার উত্তোলনের নাম করিয়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ লক্ষ ৯ হাজার টাকা আদায় করে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি আত্মসাৎ করেছেন। (২) সরকারের দেওয়া ৬০ জন শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির কোঠা প্রধান শিক্ষক সভাপতি নিজেদের মধ্যে
ভাগ বাটোয়ারা করেছেন। (৩) প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির বেপোরায়া অনিয়ম দূর্নীতির সুযোগ নিয়ে শিক্ষকরা উদাসীনতা হয়ে পড়ায় সদ্য ঘোষিত এসএসসির ফলাফলে ১১৭ জনের মধ্যে ৪৪ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য করার ঘটনায় সর্বপুরি অভিভাবক মহলে তোলপাড় এবং নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির সিমাহীন দূর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগে এবং প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান উন্নয়ন ফিরিয়ে আনার লক্ষে অভিভাবক সদস্য একরামুল হক, লিয়াকত আলী মেম্বার, জুয়েল রানা, যুবরাজ ও মহিলা সদস্য বেলীর নেতৃত্বে ম্যানেজিং কমিটির বাকি সদস্যরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইস্কুল মাঠে এক অভিভাবক সমাবেশের আহব্বান করেন। অনুষ্ঠিত সমাবেশে অভিভাবক সদস্য একরামুল হক প্রধান শিক্ষক মৃত্যঞ্জয় চন্দ্র রায় ও সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মাষ্টারের নানা অনিয়ম দূর্নীতি অর্থ আত্মসাৎ কেলেঙ্কারী ঘটনার তথ্য তুলে ধরলে উপস্থিত বিক্ষিপ্ত এলাকাবাসী অভিভাবক মহল সহ্য করতে না পেরে মঞ্চে বসা সভাপতিকে লক্ষ্য করে সেন্ডেল জুতা চেয়ার নিক্ষেপ করলে এ অপ্রতিকর ঘটনা সৃষ্টি হয়। পরে অত্র ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেনের হস্তক্ষেপে ২ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সভাপতি মোফাজ্জল হোসেনকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সরেজমিনে গতকাল বুধবার দুপুরে এলাকায় গেলে অভিভাবক সদস্য একরামুল হক, লিয়াকত আলী মেম্বার ও জুয়েল রানা এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি কমিটির বাকী সদস্যদের উপেক্ষা করে তারা দুজনে মনগড়া রেজুলেশন করে একের পর এক দূর্নীতি করে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংস করছে। দূর্নীীতবাজ প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির হাত থেকে প্রতিষ্ঠানকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছেন।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item