‘নিখোঁজ’ বা ‘অন্তর্ধান’ নিয়ে উত্তর না মিললেও সালাহ উদ্দিন জীবিত।

স্টাফ রিপোর্টারঃগত ১০ মার্চ রাতে সালাহউদ্দিন আহমেদকে উত্তরার একটি বাসা থেকে সাদা পোশাকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ দুইমাস ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর প থেকেও তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করা হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিট। স্কুল থেকে সন্তানকে নিয়ে গুলশানের বাসায় ফিরছিলেন সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ। গাড়িতে বিষণ্নম্ন হৃদয়ে নিখোঁজ বাবার কথা মনে পড়ে সালাহ উদ্দিনের কন্যার।
আদর-সোহাগে সন্তানকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন হাসিনা। এ সময় বেজে উঠল ফোন। অচেনা নম্বর থেকে চিরচেনা গলা! গত ৬২ দিন যে ফোনটির অপোয় প্রহর গুনছিলেন হাসিনা আহমেদ; সেই ফোন। ফোনের ওপাশ থেকে সালাহ উদ্দিনের বেঁচে থাকার খবর দেওয়া হয়। মেঘালয় ইনস্টিটিউট অব মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে (মিমহ্যানস) কর্তৃপরে কাছ থেকে পাওয়া ওই ফোনে স্বামীর সঙ্গে ১১ মিনিট কথা বলেন হাসিনা আহমেদ। দীর্ঘদিন পর অনেক কথা হলো, তবে আপাতত স্ত্রীর কাছে বড় স্বস্তির খবর, স্বামী বেঁচে আছেন। রহস্যজনক ‘নিখোঁজ’ বা ‘অন্তর্ধান’ নিয়ে অনেক উত্তর আপাতত না মিললেও সালাহ উদ্দিন সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে জীবিত আছেন, এটাই বা স্বজনদের কাছে কম কি!
দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসায় তার (খালেদা) সাথে সাাৎ শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘হ্যাঁ তার (সালাহ উদ্দিন আহমেদ) সাথে কথা হয়েছে।’
‘ভারতের কোনো এক রাজ্যে তিনি আছেন। আমার সঙ্গে ফোনে তার কথা হয়েছে।’ এর পরপরই তিনি কালো রঙের একটি গাড়িতে করে ওই এলাকা ছেড়ে যান।
একটি সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে হাসিনা আহমেদ পৌঁছান। এরপর সেখানে অবস্থানকালীন সময়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। ভারতের নাগাল্যান্ডের একটি হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিন কথা বলেন।
এদিকে দুপুর পৌনে ৩টার দিকে গুলশান-২এর ৭৭ নম্বর রোডের ৭ নম্বর বাসার সামনে হাসিনা আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের পাস্তুরহিল এলাকার মিম হ্যানস মেন্টাল হাসপাতালে আছেন সালাহ উদ্দিন। তিনি সুস্থ আছেন।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে হাসিনা আহমেদ বলেন, তাকে (সালাহ উদ্দিন) দেশে আনার জন্য ভিসা প্রসেসিংয়ে সরকারের সহযোগিতা চাই।
হাসিনা আহমেদ আরও জানান, দুপুর ১২টার দিকে মিম হ্যানস হাসপাতাল কর্তৃপ তাকে সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি জানায়। এরপর সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে তার (হাসিনা আহমেদ) কথা হয়। তিনি এ খবর জানানোর জন্য খালেদা জিয়ার বাসায় যান। খালেদা জিয়া তার (সালাহ উদ্দিন) সন্ধান পাওয়ার খবর জানার পর শুকরিয়া আদায় করেছেন।
এদিকে, ভারতের মেঘালয়ে সন্ধান পাওয়া বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, তাকে দুই মাস আগে ঢাকার উত্তরা থেকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণের পর থেকে তিনি আর কিছু মনে করতে পারছেন না।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে সালাহউদ্দিন নিজেই কথা বলেন বলে জানিয়েছে নিউজপোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর।
এ সময় সালাহউদ্দিন বলেন, “হ্যাঁ, আমিই বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন। আমাকে উত্তরা থেকে অচেনা লোকজন তুলে নিয়েছিল। আমি জানি না, কিভাবে এখানে এলাম।”


অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item