ডোমারে যৌতুকের দাবীতে নব-বধুকে নির্যাতন করে গর্ভপাত।

আনিছুর রহমান মানিক,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধি>>
নীলফামারীর ডোমারে যৌতুকের দাবীতে নব বধুকে নির্যাতন করে গর্ভপাত ঘটিয়েছেন এক পাষন্ড স্বামী। নির্যাতনের স্বীকার  নব-বধূ এখন হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ঘটনাটি ঘটেছে,উপজেলার পাঙ্গা মটুকপুর ইউনিয়নের বোড়াগাড়ী ব্রীজ সংলগ্ন ঘুঘুপাড়া গ্রামে। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়,উক্ত গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের পুত্র শফিকুল ইসলামের সাথে জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের মির্জাগঞ্জ বালাপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সামাদের কন্যা বুবলী বেগমের সাথে গত ৫মাস পূর্বে  বিয়ে হয়।
বিয়ের পর হতেই পাষান্ড স্বামী  তার বাড়ীর লোকদের লেলিয়ে দিয়ে যৌতুকের জন্য নানাভাবে নির্যাতন করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪শে এপ্রিল রাতে শফিকুল বুবলির পরিবারের নিকট থেকে ৫ ল টাকা  যৌতুক আনতে বলে। বুবলি এতে অস্বিকৃতি জানালে শফিকুল বলে,৫ল টাকা  না দিলে তোর গর্ভের সন্তানকে দুনিয়ার আলো দেখতে দিবনা। এতে কাজ না হলে তোকেও চির বিদায় করে দিব। এই বলে শফিকুল ও তার পিতা আব্দুল কুদ্দুস,মা মহিতন,জা ছাফিয়া খাতুন,ভাস্তি মরিয়ম,ভাশুর মহুবর রহমান মিলে বুবলিকে জোর পূর্বক হাত পা চেঁপে ধরে গর্ভনাষক ও চেতনানাষক ঔষধ খাওয়ায়। বুবলি অচেতন ও অসুস্থ্য হলে তাকে ৫ দিন তালাবদ্ধ ঘরে আটকে রাখে। ৩০শে মে আবারো গর্ভনাষক ঔষধ খাওয়ানোয় তার তিন মাসের গর্ভপাত ঘটে। বুবলির ভাই লিটন জানান,আমার বোনকে চেতনা নাষক ঔষধ খাইয়ে শরীরের সমস্ত গয়না খুলে নেয় তার শশুর বাড়ীর লোকেরা। তার জোরপূর্বক গর্ভপাতঘটানোর ফলে অতিরিক্ত রক্তরণে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজে চিকিৎসা নিয়েও সুস্থ্য না হওয়ায় এখন অর্থভাবে স্থানীয় হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এবিষয়ে বুবলি বেগম প্রতিবেদকে জানান,আমার স্বামী প্রতিদিন আমার সামনেই অন্য মেয়ের সাথে মোবাইল ফোনে দির্ঘন কথা বলে। এবং আমাকে হুমকি দিয়ে বলে আমার দাবীর ৫ল টাকা বুঝে না পেলে আমি আমার পছন্দের অন্য মেয়েকে বিয়ে করবো। বুবলি আরো বলেন,অর্থের জন্য মানুষ তার নিজের স্ত্রীর গর্ভের সন্তানকে অর্থাৎ নিজের সন্তাকে হত্যা করতে পারে তা আমি এই প্রথম দেখলাম। আমি সন্তান হত্যাকারী মানুষ রুপি জানোয়ার শফিকুলের বিচার প্রার্থনা করছি।  

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item