পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে বাইসাইকেল আমদানি বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের সহকারী কমিশনার, সুপারসহ ৪ কর্মকর্তা ষ্ট্যান্ড রিলিজ

মটর শ্রমিকদের পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ

মোঃ মোজাহারুল আলম জিন্নাহ্ রানা,জেলা প্রতিনিধি,পঞ্চগড়ঃ
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে অবৈধভাবে আনা ভারতীয় দুই হাজার ৪শ‘ পিস বাই-সাইকেল পরিবহনকারী ৫টি ট্রাকের ৮ জন চালক ও হেলপারকে আটক ও জামিন না দেয়ার কারণে বৃহস্পতিবার পঞ্চগড়-ঢাকা-দেবীগঞ্জ মহাসড়ক সকল সড়ক অবরোধ করে রাখে মটর পরিবহন শ্রমিকরা। সকালে প্রথম দফায় তারা সাড়ে ৩ ঘন্টা মহাসড়ক অবরোধ করে। সকাল ৯টায় অবরোধ শুরু করার পর দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রশাসনের আশ্বাষে তারা সাময়িকভাবে অববোধ তুলে নেয়। আদালত চালক-হেলপারদের জামিন না মঞ্জুর করলে বেলা ২টা থেকে তারা মহাসড়কে এলোপাতাড়ি যানবাহন রেখে আবারও অবরোধ শুরু করে। এতে সকল রুটে শত শত যানবাহন আটকা পড়ার কারণে যাত্রী সাধারণ চরম ভোগান্তিতে পড়ে। সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন এমনভাবে রাখা হয়েছে যে, অটোরিকসা ও রিকসা-ভ্যান ,মটর সাইকেল পর্যন্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে পঞ্চগড় জেলা ট্রাক ও ট্যাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জসিদুল ইসলাম জসিমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমাদের শ্রমিকদের অন্যায়ভাবে আটক করা হয়েছে। তাদের জামিন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের অবরোধ কর্মসূচি চলবে।
এদিকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে সাইকেল আনার অভিযোগে বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ জাকারিয়া, সুপার জাকির হোসেনসহ ৪ জনকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। কাস্টমস, এক্রাইজ ভ্যাট কমিশনারেট রংপুর বিভাগ তাদের বদলীর এই আদেশ দেন।গত বুধবার রাতে পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষে সুবেদার আবুল হোসেন বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পঞ্চগড় থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার কাজী আল তারেকসহ ধৃত ৮ ড্রাইভার-হেলপারের নামে এবং সিএন্ডএফ এজেন্ট এবি ব্রাদার্স এন্ড ইন্টারন্যাশনালের মালিক, নীলফামারীর সৈয়দপুরের মেসার্স রাজু সাইকেল স্টোরের মালিক, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা ও স্থলবন্দরের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তাকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামী করা হয়েছে।
বাংলাবান্ধা এলসি স্টেশনের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রের দাবি, দীর্ঘদিন থেকে একটি চক্র স্থলবন্দর দিয়ে আমদানিকৃত ভারতীয় বাই-সাইকেল, ফলসহ বিভিন্ন পণ্যের কোটি কোটি টাকার সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে লাভবান হচ্ছিলেন। এর সাথে জড়িত রয়েছে কাস্টমস এর কর্মকর্তা, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item