আদালতের নির্দেশনা অবমাননা সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমিতে বহুতল ভবন, মার্কেট নির্মাণ অব্যাহত

মো. জহুরুল ইসলাম খোকন, সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি-
আদালতের নির্দেশনা অবমাননা করে সৈয়দপুরে রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তিতে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। পৌর পরিষদের ঘাড় তেরামি ও কিছু প্রভাবশালী নেতাদের কারণে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ব্যাপক জটিলতা দেখা দিয়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ দাবি করছেন।
রেলওয়ে সূত্র মতে, সৈয়দপুর রেল বিভাগের ভূ-সম্পত্তি রয়েছে প্রায় সাড়ে ৮শ একর। এর মধ্যে রয়েছে অফিস, স্টাফ কোয়াটার, রেলওয়ে কারখানা, নিরাপত্তা জিআরপি, পুকুর, জলাশয়সহ ফাঁকা জায়গা। মোট জমির মধ্যে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান বখতিয়ার কবীর ১৯৭৯ সালে ৭ বছরের জন্য ২৫ একর জমি বিভিন্ন শর্তে লিজ নেন। সেখানে রয়েছে মার্কেট।
ওই সময় চুক্তি ছিল মার্কেট থেকে আয়ের ৬০ ভাগ রেলের কোষাগারে জমা দিতে হবে। বাকি ৪০ ভাগ ভোগ করতে পারবে পৌর পরিষদ। তবে রেলের জমিতে কোন প্রকার অবকাঠামো নির্মাণের অনুমোদন নকশা বা রূপ পরিবর্তন করা চলবে না। এভাবে শর্তাবলীর ৭ বছর মেয়াদ শেষ হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ কোন শর্তই পূরণ করেননি। এভাবে একাধিক চেয়ারম্যান বা মেয়র পরিবর্তন হলেও রেলওয়ের পাওনা কেউই পূরণ করেননি। পরে রেলের কর্তৃপক্ষ তার পাওনাদি দাবি করলে ১৯৮৩ সালে পৌর কর্তৃপক্ষ রেলওয়ের কাছে লীজ নেয়া ওই ২৫ একর সম্পত্তি নিজ মালিকানা দাবি করে বসেন। যার ফলে রেল কর্তৃপক্ষ পৌর পরিষদের বিরুদ্ধে যুগ্ম জেলা জজ আদালতে অন্য/১৭/০৯ মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯১১ সালের ১১ মে রেলের পক্ষে আদালত রায় দেন। পরে পৌর কর্তৃপক্ষ ওই রায়ের বিপরীতে রেলের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে এফএল ৩২৯-৩৩০ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় উচ্চ আদালত নি¤œ আদালতের রায়কেই বহাল রাখেন। কিন্তু পৌর পরিষদ আদালতের কোন রায়কেই তোয়াক্কা না করে ওই ২৫ একর ভূ-সম্পত্তিতে থাকা ব্যবসায়ীদের মার্কেট নির্মাণ করার নির্দেশ দিয়ে চলেছেন। যার ফলে অবৈধ দখলদাররা অপরিকল্পিতভাবে যেখানে সেখানে মার্কেট ও বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন যা সৈয়দপুরবাসীর জন্য হুমকির শামিল এবং এসবের কারণে একদিকে সরকার প্রতি বছর কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তেমনি অবৈধ স্থাপনার কারণে যানজট লেগেই রয়েছে। তবে এনিয়ে কোন চিন্তিত নন পৌর কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে কথা হয় পাকশীর দায়িত্বে থাকা বিভাগীয় ভূমি কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদের সাথে। তিনি বলেন, রেলের জমি উদ্ধারে তিনি সহ রেল কর্তৃপক্ষ সদা প্রস্তুত। সরকারের নির্দেশনা পেলে ৭ দিনের মধ্যেই সব অবৈধ স্থাপনা, ইমারত গুড়িয়ে দিতে পারবেন বলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান। 

অনুসরণ করুন

সর্বশেষ সংবাদ

Logo

ফেকবুক পেজ

কৃষিকথা

আপনি যা খুঁজছেন

গুগলে খুঁজুন

আর্কাইভ থেকে খুঁজুন

ক্যাটাগরি অনুযায়ী খুঁজুন

অবলোকন চ্যানেল

item